সিলেট সার্কিট হাউজ: ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন
সিলেট শহরের সুরমা নদীর উত্তর তীরে, বিখ্যাত কুইন ব্রিজের কাছে অবস্থিত সিলেট সার্কিট হাউজ ঐতিহাসিক ও প্রশাসনিক দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধুমাত্র একটি থাকার জায়গা নয়, বরং সিলেটের ঐতিহ্যের এক অংশ।
ইতিহাস: ১৯৫৪ সালে প্রথম সার্কিট হাউস কটেজ নির্মিত হয়। পরবর্তীতে, ২৪ জানুয়ারী ২০০৫ (১১ মাঘ ১৪০৯ বঙ্গাব্দ) সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব এম সাইফুর রহমান ভিভিআইপি সার্কিট হাউজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (১৯ ভাদ্র ১৪১২ বঙ্গাব্দ) এটির উদ্বোধন করেন। ১.৮৭ একর জমির উপর দুটি সুন্দর ভবন নিয়ে সিলেট সার্কিট হাউজ গঠিত।
সুবিধা: সিলেট সার্কিট হাউজে দুটি ভবন রয়েছে – একটি নতুন (ভিভিআইপি) এবং একটি পুরাতন। নতুন ভবনে ১৩টি কক্ষ, একটি কেন্দ্রীয় কনফারেন্স রুম (৯০ জনের ধারণ ক্ষমতা), দুটি মিনি কনফারেন্স রুম (প্রতিটি ২০ জনের ধারণ ক্ষমতা) এবং একটি কেন্দ্রীয় ডাইনিং রুম রয়েছে। পুরাতন ভবনে ১৯টি কক্ষ রয়েছে। প্রতিটি কক্ষে টিভি এবং উন্নত ব্যাক-আপ জেনারেটরের সুবিধা রয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগের সুবিধা সম্পর্কে তথ্য স্পষ্ট নয়।
ভাড়া: সরকারি কর্মকর্তা, সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মকর্তা এবং বেসরকারি ব্যক্তিদের জন্য ভাড়ার হার ভিন্ন ভিন্ন। বিস্তারিত ভাড়ার তালিকা উপলব্ধ।
যোগাযোগ: সড়ক, নৌ, রেল এবং আকাশপথে সিলেট সার্কিট হাউজে যোগাযোগ করা যায়।
অন্যান্য তথ্য: সার্কিট হাউজে ভিআইপি কক্ষের জন্য স্যাটেলাইট টেলিভিশন, সরকারি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক সুবিধা এবং অর্ডার অনুযায়ী বিল পরিশোধ সাপেক্ষে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। কক্ষ বরাদ্দের জন্য কমপক্ষে তিন দিন আগে নেজারত ডেপুটি কালেক্টরের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।