সিটি গ্রুপ: বাংলাদেশের একটি শিল্প সাম্রাজ্যের উত্থান
১৯৭২ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি, ঢাকার গেন্ডারিয়ায় একটি ছোট্ট সরিষার তেলের মিল থেকে যাত্রা শুরু করেছিল সিটি গ্রুপ। ফজলুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে এই প্রতিষ্ঠানটি আজ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প কনগ্লোমারেটে পরিণত হয়েছে। প্রথমে সিটি অয়েল মিলস নামে পরিচিত এই সংস্থাটি ধীরে ধীরে উৎপাদন, শিল্পোদ্যোগ ও ট্রেডিংয়ের নতুন নতুন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে বিশাল এক শিল্প সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে।
- *ফজলুর রহমানের স্বপ্ন:** প্রতিষ্ঠাতা ফজলুর রহমানের দৃঢ় সংকল্প ও অক্লান্ত পরিশ্রম সিটি গ্রুপের সাফল্যের মূলে অবস্থান করছে। তিনি শুধু ব্যবসায়িক উন্নয়নে নয়, সামাজিক দায়িত্ব পালনেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে সিটি গ্রুপ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
- *বিভিন্ন খাতে অগ্রযাত্রা:** আজ সিটি গ্রুপের অধীনে ৪০টিরও বেশি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন (তীর ব্র্যান্ডের তেল, আটা, ময়দা, চিনি), ভারী শিল্প, স্বাস্থ্যসেবা, বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাই-টেক পার্ক, পোল্ট্রি খাদ্য, মিডিয়া ও যোগাযোগ সহ নানা খাতে তাদের ব্যবসা বিস্তৃত। তাদের 'তীর' ব্র্যান্ড দেশব্যাপী জনপ্রিয়।
- *উল্লেখযোগ্য অর্জন:** সিটি গ্রুপ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তারা অর্থনৈতিক অঞ্চল (City Economic Zone, Hoshendi Economic Zone, Purbagaon Economic Zone) স্থাপন করে কারখানা স্থাপন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করেছে। তাদের হাই-টেক পার্ক উচ্চ প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় সহায়তা করবে।
- *সামাজিক দায়বদ্ধতা:** সিটি গ্রুপ শুধু ব্যবসায়িক সাফল্যেই সীমাবদ্ধ থাকে নি। তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে অবদান রেখেছে। ‘থ্যাঙ্ক ইউ ডে’ পালন করে তারা কর্মী ও সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
- *চ্যালেঞ্জ ও সমালোচনা:** সিটি গ্রুপের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জ ও সমালোচনার মুখোমুখি ও হয়েছে। যেমন, মান নির্ণয়ের বিষয়ে বিভিন্ন সময় সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
সিটি গ্রুপের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল এবং তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।