সাহেবের হাট

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১:৩১ এএম

খুলনার ইতিহাসের সাক্ষী, সাহেবের হাট: বর্তমান বড় বাজার

খুলনার ঐতিহাসিক বড় বাজারের আদি নাম ছিল ‘সাহেবের হাট’। যশোর জেলার অন্তর্গত খুলনা মহকুমার গোড়াপত্তন ১৭৫৭ সালের পরে হয়। ঐ সময়ে ভৈরব নদের তীরে এই ছোট্ট হাটটি গড়ে উঠেছিল। মহকুমা গঠনের পরে এই হাটে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জনশ্রুতি আছে যে, রেনি সাহেব নামে একজন খ্রিস্টান এই হাটে জমি দান করে হাট বসানোর সূচনা করেছিলেন; তাই একে ‘সাহেবের হাট’ বলা হতো। ১৮৮৪ সালে খুলনা জেলা গঠিত হলে এই হাটের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পায়। লোকজনের সমাগম বেড়ে যায় এবং কালের বিবর্তনে এর নামকরণ হয় ‘বড় বাজার’।

পাঁচ একরেরও বেশি জমির উপর অবস্থিত এই বাজার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত। একসময় সাবেক খুলনা বিভাগের ১৬ জেলাসহ ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ির মানুষও এখানে বিক্রয় ও ক্রয়ের জন্য আসতো। খুলনা বিভাগ ভেঙে বরিশাল বিভাগ গঠনের পরও খুলনা ও বরিশাল বিভাগের একাধিক জেলার মানুষ এই বাজারের উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার দোকান রয়েছে এবং মাসে কয়েক হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়।

তবে সময়ের সাথে সাথে যানবাহন চলাচলের অসুবিধা, রাস্তার সংকীর্ণতা এবং অন্যান্য নতুন বাজারের উত্থানের ফলে বাজারের জৌলুস কিছুটা কমেছে। বাজারের ব্যবসায়ীদের দাবি, দুই শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী এই বাজারের প্রাচীন জৌলুস এখন আর নেই। তবুও দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ বড় বাজারে মালামাল কিনতে আসে। বাজারটির অবস্থান ওয়েস্ট মেকড রোড, ভৈরব স্ট্যান্ড রোড, হেলাতলা রোড, কালিবাড়ী রোড, ক্লে রোড, কেডি ঘোষ রোড, স্যার ইকবাল রোডের একাংশ ও স্টেশন রোড জুড়ে বিস্তৃত।

মূল তথ্যাবলী:

  • খুলনার ঐতিহাসিক বড় বাজারের আদি নাম ‘সাহেবের হাট’
  • ১৭৫৭ সালের পরে ভৈরব নদের তীরে গড়ে উঠেছিল
  • রেনি সাহেব নামে একজন খ্রিস্টানের জমি দানের মাধ্যমে হাটের সূচনা
  • ১৮৮৪ সালে খুলনা জেলা গঠনের পরে হাটের বিকাশ
  • বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহৎ পাইকারি বাজার
  • প্রায় ১০ হাজার দোকান এবং মাসে কয়েক হাজার কোটি টাকার লেনদেন

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।