ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রাজনীতিতে একাধিক সাহিদুজ্জামান মাতব্বরের অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকায় বিভ্রান্তি দূরীকরণের জন্য নিম্নলিখিত তথ্য সহযোগে একটি নিবন্ধ তৈরি করা হয়েছে।
প্রথম সাহিদুজ্জামান মাতব্বর: এই সাহিদুজ্জামান মাতব্বর ছিলেন সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং মাঝারদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ সালে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকা থেকে পুলিশ তাকে (৬৫) গ্রেপ্তার করে। তিনি মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা হলেও ফরিদপুর শহরে বেশি সময় অবস্থান করতেন। এই গ্রেপ্তারের পেছনের কারণ ও মামলার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি মাঝারদিয়া এলাকায় একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিতেন এবং সম্প্রতি ওই এলাকায় বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
দ্বিতীয় সাহিদুজ্জামান মাতব্বর: একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সালথার মাঝারদিয়া ও গট্টি ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত ছিলেন আরেকজন সাহিদুজ্জামান মাতব্বর। তিনিও সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। ১৩ এপ্রিল ২০২৫-এ মাঝারদিয়া গ্রামে এলাকার প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে তার হাবিবুর রহমান নামে আরেকজন সহ-সভাপতির সাথে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ হয়, যাতে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩০ জন আহত হন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
তৃতীয় সাহিদুজ্জামান মাতব্বর: সালথা উপজেলায় একটি তাণ্ডবের ঘটনায়, আরেক সাহিদুজ্জামান (নগরকান্দা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি) অভিযুক্ত হলেও তিনি নিজের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবী করেছেন, তিনি সালথায় থাকেন না, বর্তমানে ফরিদপুরে অবস্থান করেন।
উল্লেখ্য, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী একাধিক সাহিদুজ্জামান মাতব্বরের কথা জানা গেছে। আরও তথ্য প্রাপ্ত হলে এই নিবন্ধ আপডেট করা হবে।