সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ১৯৮৫ সালে প্রণীত ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা’ একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন। এই বিধিমালায় সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন ধরণের অপরাধ, তাদের তদন্ত প্রক্রিয়া এবং শাস্তির বিধান রয়েছে। অসদাচরণের সংজ্ঞা, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশ অমান্য, কর্তব্যে অবহেলা, সরকারি আদেশ অমান্য, অসৌজন্যমূলক অভিযোগ ইত্যাদি বিষয় এখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখিত আছে। শাস্তির ধরণ দুই প্রকার: লঘু ও গুরু। লঘু শাস্তির মধ্যে রয়েছে তিরস্কার, পদোন্নতি স্থগিত, বেতন কাটা ইত্যাদি। গুরু শাস্তির মধ্যে রয়েছে পদাবনতি, বরখাস্ত, চাকুরিচ্যুতি ইত্যাদি। চাকুরিচ্যুতির ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে অন্য কোনও সরকারি চাকরিতে যোগদানের অযোগ্যতা থাকে। তদন্ত প্রক্রিয়া তিন ধরণের: নাশকতামূলক অপরাধ, লঘু অপরাধ ও গুরু অপরাধ। সংবিধানের ১৩৫(১) ও ১৩৫(২) অনুচ্ছেদ এই বিধিমালায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার ব্যতিক্রম ঘটতে পারে। তদন্ত প্রক্রিয়ায় কারণ দর্শানোর এবং ব্যক্তিগত শুনানির সুযোগ থাকে। রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আপীলের সুযোগ না থাকলেও পুনর্বিবেচনার আবেদন করা যায়। আইনি প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব, তবে শাস্তির প্রয়োগ মামলার নিষ্পত্তি পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। এই বিধিমালা সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্বশীলতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ.এম.এম শওকত আলী এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
শৃঙ্খলা
মূল তথ্যাবলী:
- ১৯৮৫ সালে প্রণীত ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা’ সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- বিধিমালায় অপরাধের ধরণ, তদন্ত প্রক্রিয়া এবং শাস্তির বিধান বিস্তারিতভাবে বর্ণিত আছে।
- লঘু ও গুরু দুই ধরণের শাস্তির বিধান রয়েছে।
- সংবিধানের ১৩৫(১) ও ১৩৫(২) অনুচ্ছেদ এই বিধিমালার সাথে সম্পর্কিত।
- রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার ব্যতিক্রম ঘটতে পারে।
- তদন্ত প্রক্রিয়ায় কারণ দর্শানোর ও ব্যক্তিগত শুনানির সুযোগ রয়েছে।