শিরীন নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। নিম্নে দুইজন বিখ্যাত শিরীনের তথ্য তুলে ধরা হলো:
১. শিরীন (মিশরীয় গায়িকা):
শিরীন সৈয়দ মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াহহাব (আরবি: شيرين سيد محمد عبد الوهاب), পেশাগতভাবে শিরীন নামে পরিচিত, একজন মিশরীয় গায়ক, অভিনেত্রী এবং সঙ্গীত বিচারক। তিনি "দ্য ভয়েস অফ ইজিপ্ট" নামে পরিচিত। ৮ অক্টোবর ১৯৮০ সালে মিশরের কায়রোতে জন্মগ্রহণকারী শিরীন এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তার বাবা একজন সজ্জাশিল্পী এবং মা গৃহিণী। তিনি ১৯৮০ সালের ৮ অক্টোবর মিশরের কায়রোতে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশবের কণ্ঠ প্রতিভা স্কুলের সঙ্গীত শিক্ষক আবিষ্কার করেন। মাত্র নয় বছর বয়সে কায়রো অপেরা হাউসে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পরিচালক সেলিম সাহাবের সাথে দেখা করার সুযোগ পান। নয় বছর বয়স থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত কায়রো অপেরা হাউসে কোরাল সদস্য হিসাবে গান গেয়েছিলেন। পরে একক গায়ক হিসেবে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেন। ১৮ বছর বয়সে বিখ্যাত সঙ্গীত প্রযোজক নাসর মাহরুসের সাথে কাজ শুরু করেন। ২০০২ সালে তামের হোসনির সাথে যৌথ অ্যালবাম "ফ্রি মিক্স৩- তামের & শিরীন" মুক্তি পায়, যা মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় ২০ মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি হয়। তার গান "সাবরি আলিল" সম্প্রতি টিকটকে ভাইরাল হয় এবং স্পটিফাইয়েও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। অভিনয়ের দিক থেকে, "মিদো মাশাকেল" ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং ২০১৫ সালে রমজান নাটক "তারিকি"তে অভিনয় করেন। ২০১৭ সাল পর্যন্ত দ্য ভয়েস আহলা সাউত শোতে বিচারক ছিলেন এবং একই বছর নিজস্ব টকশো "শিরী'স স্টুডিও" হোস্ট করেছেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তার দীর্ঘদিনের স্বামী হোসাম হাবিবের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
২. শিরীন শারমিন চৌধুরী (বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ):
ডঃ শিরীন শারমিন চৌধুরী একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী স্পিকার। ৬ অক্টোবর ১৯৬৬ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী শিরীন ৩০ এপ্রিল ২০১৩ সালে নবম জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৮ সালের একাদশ এবং ২০২৩ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং উভয়বারই স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একজন আইনজীবী এবং কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ছিলেন (২০১৪-২০১৭)। তার বাবা ছিলেন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস অফিসার এবং মা ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম এবং যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।