শহীদ চিশতী

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১:৪১ পিএম

শহীদ চিশতী শাহ হেলালুর রহমান: একজন মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক

১৯৪৯ সালের ৫ই মে বগুড়া জেলার সদর উপজেলার রহমান নগরে জন্মগ্রহণ করেন শহীদ চিশতী শাহ হেলালুর রহমান। চিশতী মনসুর রহমান ও সাজেদা খাতুনের ৪ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন জ্যেষ্ঠ। বগুড়া জেলা স্কুল থেকে ১৯৬৫ সালে মাধ্যমিক এবং বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে ১৯৬৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ থেকে ১৯৭০ সালে স্নাতক এবং ১৯৭১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।

ছাত্রজীবনে স্কাউটিং-এ সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হেলাল ছিলেন একজন মেধাবী ও মাতৃভক্ত ছাত্র। তিনি স্কুল নাট্যদলেও সক্রিয় ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন এবং ১৯৭১ সালে দৈনিক আজাদ পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। তার বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশের জন্য তিনি সুনাম অর্জন করেছিলেন।

হেলালুর রহমান ছাত্রলীগের সাথেও যুক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৬৯ সালে ইকবাল হল শাখা ছাত্র সংসদের পাঠাগার সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৭০-৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ২৩শে মার্চ স্বাধীন বাংলা পতাকা উত্তোলন দিবসে ছাত্রলীগ প্যারেডে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের পতাকা ও জাতীয় সংগীতকে তিনি কখনোই সম্মান করতেন না।

১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তিনি বগুড়ার প্রথম শহীদ। তার স্মরণে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ১৯৯১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী টিকেট নবম পর্যায়’ -এ হেলালুর রহমানের নামে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ১৯৯৮ সালের ১৭ই জানুয়ারি শহীদ চিশতী লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ৫ই মে ১৯৪৯ সালে বগুড়ায় জন্ম
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি
  • দৈনিক আজাদ পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা
  • পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সম্পাদক
  • ২৬শে মার্চ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।