চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন: একটি ভয়াবহ অধ্যায়
১৯৪২ সালের ১৮ ডিসেম্বর, রাতের আঁধারে ঘটে গেল একটি ঘটনা যা বাংলার ইতিহাসে কলঙ্কের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন, যা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিশ্বাস্য অধ্যায় হলেও, এর সাথে জড়িত কিছু নেতিবাচক দিকও ছিল।
এই লুণ্ঠনে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন বিভিন্ন দলের বিপ্লবী। সূর্যসেন এবং মাস্টারদা সহ অনেক নেতা ও কর্মী এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশদের অস্ত্র-শস্ত্র কেড়ে নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরও শক্তিশালী করা। রাতের আঁধারে তারা অস্ত্রাগারে প্রবেশ করে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক লুণ্ঠন করে।
তবে, লুণ্ঠিত অস্ত্রের ব্যবহার ও বন্টন নিয়ে বিতর্ক ছিল। কিছু অস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাছে পৌঁছে গেলেও অনেক অস্ত্র অন্যত্র চলে গিয়েছিল যা পরবর্তীতে সংঘাত ও অস্থিরতার সৃষ্টি করেছিল।
চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন বাংলার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অংশ হলেও এর পরবর্তী পরিণতি ও নেতিবাচক দিকগুলো মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আজকের দিনে এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়া এবং ইতিহাসের সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।