লায়ন আসলাম চৌধুরী: একজন রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও মানবিক ব্যক্তিত্ব
লায়ন অধ্যাপক মো. আসলাম চৌধুরী এফসিএ, একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক এবং মানবিকতার প্রতীক। তিনি লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩১৫ বি ৪ বাংলাদেশের ২০১০-১১ সেবা বর্ষে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার সেবার মূলমন্ত্র ছিল ‘Together Toward Tomorrow’, যা একটি উন্নত, ঐক্যবদ্ধ এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা প্রকাশ করে।
লায়ন্স ক্লাবের অবদান:
লায়ন অধ্যাপক মো. আসলাম চৌধুরী তার স্লোগানের বাস্তবায়নে লায়ন সদস্যদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার মানসিকতা সৃষ্টি করেন। তিনি দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য চিকিৎসা সেবা, শিক্ষার প্রসার এবং পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। স্বাস্থ্যসেবা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ বিতরণ এবং নারীর ক্ষমতায়নে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। তার দক্ষ নেতৃত্বে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের কার্যক্রম নতুন দিগন্তে পৌঁছেছে।
রাজনৈতিক জীবন:
লায়ন অধ্যাপক মো. আসলাম চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একজন বিশিষ্ট নেতা। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অঞ্চলে দলীয় কার্যক্রম নতুন উদ্যমে পরিচালিত হয়েছে। তিনি সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে যুবসমাজকে রাজনীতিতে সক্রিয় করার পাশাপাশি দলীয় ঐক্য বজায় রাখার জন্য কাজ করেছেন।
পেশাগত জীবন:
তিনি একজন এফসিএ (Fellow Chartered Accountant), যার মাধ্যমে তিনি দেশের আর্থিক ও পেশাগত ক্ষেত্রে দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন।
সম্প্রতি:
দীর্ঘ ৮ বছরেরও বেশি সময়ের পর কারামুক্ত হয়ে নিজ এলাকা সীতাকুণ্ডে ফিরেছেন। মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম কারগার থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা যোগে তাকে বরণ করে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটস্থ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ৭৬টি মামলা ছিল।
লেখক: এডভোকেট মোহাম্মদ সরোয়ার হোসাইন লাভলু, জোন চেয়ারপারসন ও ক্লাব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগং মিসরাই, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চট্টগ্রাম।
দীর্ঘ ৮ বছরের কারাবাসের পর মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি নেতা লায়ন আসলাম চৌধুরী। তিনি একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও লায়ন্স ক্লাবের গভর্নর ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৭৬টি মামলা ছিল।