রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বঙ্গোপসাগরের সম্ভাবনা উন্মোচনের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন অপরিহার্য। তিনি আরও বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত মিয়ানমারে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা নিরাপত্তা ও অধিকার নিয়ে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত মিয়ানমার ও এই অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না। গত সাত বছরে চরম নৃশংসতার শিকার হয়ে রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের প্রত্যাবাসনে কোনো অগ্রগতি না হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি আরাকান আর্মির উত্থানকে পরিস্থিতির জটিলতার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন। ব্যাংককে অনুষ্ঠিত একটি অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় তিনি মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছেন যে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন ছাড়া সেখানে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে না। এই আলোচনায় মিয়ানমার, লাওস, চীন ও ভারতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তৌহিদ হোসেনের মতে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা মিয়ানমার ও আঞ্চলিক শক্তির দায়িত্ব। এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য 'রিকানেক্টিং দ্য বে অব বেঙ্গল রিজিয়ন: এক্সপ্লোরিং দ্য কনভারজেন্স অব ইন্টারেস্ট' শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে, যাতে জাপানের রাষ্ট্রদূত ও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
রোহিঙ্গারা
মূল তথ্যাবলী:
- মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অপরিহার্য
- ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে
- রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কোন অগ্রগতি নেই
- আরাকান আর্মি পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে
- রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন ছাড়া মিয়ানমারে শান্তি সম্ভব নয়
গণমাধ্যমে - রোহিঙ্গারা
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
এই জনগোষ্ঠী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।