রাজেশ চৌধুরী

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

রাজেশ চৌধুরী নামে একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উল্লেখ পাওয়া গেছে। প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, দুই ধরণের রাজেশ চৌধুরীর কথা বলা হয়েছে। প্রথম রাজেশ চৌধুরী একজন বিচারক এবং ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার হিসেবে কর্মরত। ২০১৩ সালে তিনি বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের ষষ্ঠ ব্যাচের সদস্য হিসেবে সহকারী জজ হিসেবে যোগদান করেন এবং ফেনীর জেলা জজ আদালতে কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। চলতি বছরের আগস্ট থেকে তিনি এই পদে কর্মরত। তিনি অসহায় ও দরিদ্র ব্যক্তিদের আইনি সেবা প্রদানে কাজ করছেন। লিগ্যাল এইডের উদ্দেশ্য হলো অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন ব্যক্তিদের আইনগত সহায়তা প্রদান। তিনি এনটিভি অনলাইনের সাক্ষাৎকারে লিগ্যাল এইডের কার্যক্রম, উদ্দেশ্য এবং সেবার বিস্তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেছেন। দ্বিতীয় রাজেশ চৌধুরী (২৮) এর সাথে ইসকন সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে একটি মামলায় জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে এই মামলা দায়ের হয়েছে। এই তথ্য দুটি আলাদা ঘটনা ও ব্যক্তির উল্লেখ করে। অধিক তথ্যের জন্য আমরা আপনাকে পরবর্তীতে আপডেট করবো।

একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, রাজেশ চৌধুরী নামের একজন ব্যক্তি ২০১১ সালের একটি নাশকতা মামলায় আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ অন্যদের বিচার করেছেন এবং তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে বিএনপির নেতা হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশও দিয়েছেন। তিনি ২০১৭ সালে ৪৩ টি এবং পরবর্তী চার মাসে ২৭টি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি করেছেন। ঢাকা জজ কোর্ট লিগ্যাল এইডের ৮৬ জন আইনজীবী রয়েছে। তিনি ২০১৪ সালে প্রণীত আইনগত সহায়তা প্রদান নীতিমালা সম্পর্কেও আলোচনা করেছেন। তিনি বিভিন্ন ঘটনা ও আইনি বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে আমজাদ হোসেন ইমরান ও শান্তা নুরের ঘটনা। তিনি লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের প্রসারে ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি পরিদর্শন করছেন। ২০০০ সালে লিগ্যাল এইডের পরিকল্পনা গৃহীত হয় এবং ২০০৯ সালে এর কার্যক্রম শুরু হয়। ২৮ এপ্রিলকে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • রাজেশ চৌধুরী ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার।
  • ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগদান।
  • ফেনী জেলা জজ আদালতে কর্মরত ছিলেন।
  • অসহায় ও দরিদ্রদের আইনি সেবা প্রদানে নিয়োজিত।
  • একজন রাজেশ চৌধুরী চট্টগ্রামে জাতীয় পতাকা অবমাননার মামলায় জড়িত।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।