রাজীবুল আলম

আপডেট: ৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১৯ এএম

ডেমরায় চোখ উপড়ে ফেলা ব্যবসায়ী রাজীবুল আলমের মামলায় রায়: ৫ জন যাবজ্জীবন, ৪ জন খালাস

২০০৮ সালের ২৭ নভেম্বর রাতে ঢাকার ডেমরায় রাজীবুল আলম নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে দুই চোখ উপড়ে ফেলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং চারজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। রবিবার (১ ডিসেম্বর ২০২৪) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বিজয় ওরফে শামীম আহম্মেদ, দ্বীন ইসলাম, ইকবাল, নাছু ওরফে নাসির উদ্দিন ও রাজিব ওরফে মোটা রাজিব। প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ের ক্ষেত্রে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রিপন, রাশেদ, তপন ও রাসেল ওরফে রোসেল ওরফে মমিতুর রহমান নামে চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি রুবেল ২০১০ সালের ১৬ মার্চ র‌্যাবের সাথে ক্রসফায়ারে নিহত হন। রায় ঘোষণার সময় রাশেদ, রিপন ও ইকবাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। অন্যান্য আসামিরাও অনুপস্থিত ছিলেন।

রায়ের পর রাজীবুল আলম জানান, তিনি ন্যায়বিচার পাননি। তার চোখ উপড়ানোর ঘটনায় ১০ জন জড়িত ছিল কিন্তু আদালত চারজনকে খালাস দিয়েছে। তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানান। রাজীবুলের স্ত্রী মলি আক্তারও রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং আপিল করার কথা জানান।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ২৭ নভেম্বর রাতে রাজীবুল আলম ডেমরার বোর্ড মিল এলাকা থেকে বাসায় ফেরার পথে অপহৃত হন। আসামিরা তাকে একটি ফাঁকা প্লটে নিয়ে যায় এবং হাত-পা বেঁধে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুই চোখ উপড়ে ফেলে। পরদিন রাজীবুলের বাবা শাহ আলম বাদী হয়ে ডেমরা থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। ২০০৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক মীর আতাহার আলী ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর ৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলায় ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • ডেমরায় রাজীবুল আলমের চোখ উপড়ে ফেলা মামলায় রায় ঘোষণা
  • ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
  • ৪ আসামিকে খালাস
  • ভুক্তভোগী রাজীবুল আলম উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন
  • মামলাটি ২০০৮ সালে ঘটেছিল

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।