রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলা: পদ্মা-বড়ালের সঙ্গমস্থলে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা। ১৯১৯ সালে থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১৯৮৩ সালে উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। এই উপজেলার ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে, কলকাতা বন্দর থেকে স্টিমার আগমনের স্থান হিসেবে। চারঘাট উপজেলা পদ্মা ও বড়াল নদীর তীরে অবস্থিত, পবা, পুঠিয়া, বাঘা উপজেলা এবং নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত। ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ২,২৪,৮৩৩ (২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী)। অর্থনীতিতে কৃষি, আম ব্যবসা, এবং গোপালপুর চিনিকলের জন্য আখ চাষ উল্লেখযোগ্য। পানের খড়ের উৎপাদনেও এটি বিখ্যাত। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সরদহ এলাকার ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে, যার নামের উৎপত্তি বাঘ শিকারের ইতিহাসের সাথে জড়িত। এছাড়াও, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন মুজিব কিল্লা নির্মাণাধীন রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে পুলিশ একাডেমি, রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ। উপজেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব বর্গকিলোমিটারে প্রায় ১,৩৬৬ জন (২০২২)। সাক্ষরতার হার ৭০.৯৯% (৭ বছরের উর্ধ্বে)।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা
আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৭:৫২ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- ১৯১৯ সালে থানা, ১৯৮৩ সালে উপজেলা হিসেবে গঠিত
- পদ্মা-বড়াল নদীর তীরে অবস্থিত
- ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত
- প্রায় ২,২৪,৮৩৩ জনসংখ্যা (২০২২)
- আম, আখ চাষ, পানের খড়ের জন্য বিখ্যাত
- মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক গুরুত্ব
- মুজিব কিল্লা নির্মাণাধীন
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।