রাজধানীর রামপুরা: ঢাকা শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা
ঢাকা মহানগরীর একটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হল রামপুরা। এই এলাকাটি বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সদর দপ্তর অবস্থিত, যা ১৯৭৫ সালে নির্মিত হয়। এই থানাটি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের অধীনে পড়ে এবং এর আয়তন ২.৮০ বর্গ কিলোমিটার। রামপুরা থানার দুটি ওয়ার্ড (ওয়ার্ড ২২ ও ২৩) এবং ১৭টি মহল্লা ও মৌজা রয়েছে।
জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক অবস্থান:
২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, রামপুরা থানার জনসংখ্যা ছিল ১৩৮,৯২৩ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৪৯,৬১৫ জন। সাক্ষরতার হার ৭৪.৪৫ শতাংশ (পুরুষ ৭৬.৫২%, নারী ৭৩.৩৮%)। রামপুরা থানা পূর্বে খিলগাঁও থানা, পশ্চিমে হাতিরঝিল থানা ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা, দক্ষিণে খিলগাঁও থানা ও মতিঝিল থানা, এবং উত্তরে গুলশান থানা ও বাড্ডা থানার সাথে সংলগ্ন। রামপুরা খাল এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও উল্লেখযোগ্য স্থান:
এখানে বেশ কিছু গৃহনির্মাণ প্রকল্প, আফতাবনগর হাউজিং প্রোজেক্ট ও বনশ্রী হাউজিং প্রোজেক্ট, এবং একটি গার্মেন্টস কারখানা রয়েছে। রামপুরা KC নামে একটি স্থানীয় ফুটবল ক্লাবও রয়েছে। এছাড়াও রামপুরা বস্তি নামে একটি বস্তি রয়েছে। এই এলাকার পানি সরবরাহের দায়িত্বে রামপুরা পাম্প স্টেশন। তবে ওয়াশার দুষিত পানি সরবরাহের কারণে সমালোচিত হয়েছে।
সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ:
রাজনৈতিক হাঙ্গামা, ভূমি দখল, এবং রামপুরা খাল ভরাটের মতো সমস্যা রয়েছে। অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের ফলে পরিবেশগত সমস্যাও দেখা দিয়েছে। খেলার মাঠের অভাবও একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা। মো. তোফাজ্জল হোসেন এরকম একটি খেলার মাঠ নির্মাণের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন।
ঘটনা ও সংঘর্ষ:
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রামপুরা পুলিশ বক্সে আগুন ধরানোর ঘটনা ঘটে। অন্যান্য ঘটনার মধ্যে রয়েছে মাদক কারবার ও চাঁদাবাজির ভাগভাটোয়া নিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হওয়া আল আমিন (৩৬) এবং ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের সড়ক অবরোধের ঘটনা।
উল্লেখ্য: রামপুরা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।