রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৫:৪১ পিএম

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব: ঐতিহ্য ও সংগ্রামের এক অনন্য প্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত জাতীয় প্রেস ক্লাব দেশের সাংবাদিকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশাদার সংগঠন। ১৯৫৪ সালের ২০ অক্টোবর 'পূর্ব পাকিস্তান প্রেস ক্লাব' নামে যাত্রা শুরু করে এই প্রতিষ্ঠানটি। এই লেখাটিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ঐতিহাসিক ভূমিকা, উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ, ঘটনা ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা হবে।

প্রতিষ্ঠা ও প্রাথমিক দিন:

১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর ১৮ তোপখানা রোডের একটি সরকারি ভবনে ক্লাবের কার্যক্রম শুরু হয়। এই ভবনটি পূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবন ছিল, যেখানে বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু বাস করতেন। এন এম খান প্রেস ক্লাবের প্রথম আজীবন সদস্য এবং মুজিবুর রহমান খাঁ প্রথম সভাপতি ছিলেন।

১৯৭১ ও তার পরবর্তী সময়:

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর অপারেশন সার্চলাইট-এর সময় ক্লাব ভবনটি ধ্বংস হয়ে যায়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে 'জাতীয় প্রেস ক্লাব' নামকরণ করা হয়। ১৯৭৭ সালে সরকার ক্লাবকে বর্তমান জমির মালিকানা প্রদান করে এবং নতুন ভবন নির্মাণে সহযোগিতা করে।

বর্তমান অবস্থা:

বর্তমানে ক্লাবে আজীবন সদস্য, পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য স্থায়ী সদস্য এবং সহযোগী সদস্য (যাদের ভোটাধিকার নেই) এই তিন ধরণের সদস্য রয়েছে। বর্তমানে সদস্য সংখ্যা প্রায় ১২০০। ক্লাব কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৭। বর্তমানে ক্লাবের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি কবি হাসান হাফিজ এবং সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আইয়ুব ভুঁইয়া।

ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব:

জাতীয় প্রেস ক্লাব কেবল সাংবাদিকদের একটি পেশাদার সংগঠনই নয়, বরং এটি দেশের ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক ঘটনার সাক্ষী ও অংশীদার হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বিভিন্ন সময় এই প্রতিষ্ঠানটি গণতন্ত্র রক্ষা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সংরক্ষণ এবং জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

উল্লেখ্য: এই লেখার তথ্যাদি সীমিত। আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করবো।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৫৪ সালে 'পূর্ব পাকিস্তান প্রেস ক্লাব' নামে প্রতিষ্ঠিত
  • বর্তমানে 'জাতীয় প্রেস ক্লাব' নামে পরিচিত
  • ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত
  • সাংবাদিকদের পেশাদার সংগঠন
  • দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সাথে জড়িত
  • প্রায় ১২০০ সদস্য

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।