মো. নূরুল ইসলাম সুজন: একজন সাবেক রেলমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য
মো. নূরুল ইসলাম সুজন (জন্ম: ৫ জানুয়ারি ১৯৫৬) একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ এবং পঞ্চগড়-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সরকারের রেলমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত হওয়ার পর তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা:
সুজন পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদীঘির মহাজনপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ইমাজ উদ্দিন আহম্মেদ এবং মাতার নাম কবিজান নেছা। তিনি ময়দানদীঘি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়নাদীঘি বি এল উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঠাকুরগাঁও সরকারী কলেজ হতে শিক্ষা লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে প্রাণীবিদ্যায় বিএসসি (সম্মান) এবং ১৯৭৯ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনৈতিক ও পেশাগত জীবন:
পেশায় সুজন একজন সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আইনজীবী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবনে তিনি ডাকসুর সংসদের বিজ্ঞান মিলনায়তন বিষয়ক সম্পাদক, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করলেও পরাজিত হন।
সংসদীয় জীবন ও গ্রেফতার:
সুজন ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে পুনরায় নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর তিনি আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, কিন্তু পরবর্তীতে সংসদ বিলুপ্ত হওয়ার কারণে তার পদ হারিয়ে যায়। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে তাকে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
ব্যক্তিগত জীবন:
২০১৮ সালে সুজনের প্রথম স্ত্রী নিলুফার ইসলাম মারা যান। ৫ জুন ২০২১ সালে তিনি দিনাজপুরের বিরামপুরের শাম্মী আক্তার মনিকে বিয়ে করেন।
অতিরিক্ত তথ্য:
এই নিবন্ধে উপস্থাপিত তথ্য সীমিত। অধিক তথ্য পাওয়া গেলে আমরা আপনাকে পরবর্তীতে জানাব।