মো. রাব্বি হোসেন নামে একাধিক ব্যক্তির কথা বিভিন্ন সংবাদে উঠে এসেছে। তাদের বিষয়বস্তু ও ঘটনা পরস্পর সম্পর্কহীন।
প্রথম রাব্বি: নওগাঁর মহাদেবপুরের রাইগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মী মো. রাব্বি হোসেন। ওই বিদ্যালয়ের এক ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে তিনি উধাও হয়ে যান। ২০২১ সালে ওই বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে নিয়োগ পান। তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান। তিনি রাইগাঁ (কানচকুড়ি) গ্রামের বাসিন্দা এবং সাবেক নৈশপ্রহরী আতোয়ার রহমানের ছেলে। এই ঘটনার সাথে বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের যৌন হয়রানির অভিযোগও জড়িত।
দ্বিতীয় রাব্বি: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. রাব্বি হোসেন (২১)। তিনি জন্মগত প্রতিবন্ধী। তার দুই পা ও দুই হাত সরু। একটি হুইল চেয়ারের অভাবে তিনি অসহায়। তার বাবা মো. মাসুদ ও মা রৌশন আক্তার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইয়াসীর আরাফাত সমাজ সেবার মাধ্যমে তাকে হুইল চেয়ার দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
তৃতীয় রাব্বি: ঢাকার ধামরাইয়ে নৌভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ১৮ ঘণ্টা পর মো. রাব্বি হোসেন (২৪) নামের এক প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি কুয়েতপ্রবাসী ছিলেন এবং কিছুদিন আগেই দেশে ফিরেছিলেন। ধামরাই পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কুমরাইল এলাকার মো. হুমায়ুন মিয়ার ছেলে। শুক্রবার বন্ধুদের সাথে বংশী নদীতে নৌভ্রমণ করার সময় নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন এবং শনিবার তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
চতুর্থ রাব্বি: নাটোরের সিংড়ায় ট্রাকচাপায় নিহত মো. রাব্বি হোসেন (১৮)। তিনি সোমবার বামিহাল-দুর্গাপুর সড়কে অটো ভ্যানে করে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন।