মো. মাহমুদুল হক নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, তাই তাদের স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দুই ধরণের মো. মাহমুদুল হকের উল্লেখ পাওয়া গেছে:
প্রথম মো. মাহমুদুল হক: একজন বাংলাদেশী লেখক। ১৬ নভেম্বর ১৯৪১ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২১ জুলাই ২০০৮ সালে মারা যান। বাংলা সাহিত্যে তিনি একজন শক্তিশালী কথাশিল্পী হিসেবে পরিচিত। তার লেখনশৈলী ও শব্দচয়ন অসাধারণ। ১৯৭৭ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। তিনি বারাসাতের কালীকৃষ্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন এবং ১৯৫২ সালে ঢাকার লালবাগের ওয়েস্ট এন্ড স্কুলে ভর্তি হন। রাতকানা রোগের কারণে তাঁর পড়ালেখা কিছুদিন বন্ধ ছিল। ১৯৫৮ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন এবং জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হলেও পড়াশোনা শেষ করেননি। দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় অনুবাদক হিসেবে কাজ শুরু করলেও, তিন মাস পরেই চাকরি ছেড়ে দেন। মনোহারী এবং জুয়েলারি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৭ সালে মীজানুর রহমান এবং প্রতাপউদ্দিনের সাথে ‘গাঙচিল প্রেস’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা স্থায়ী হয়নি। কথাশিল্পী শহীদ সাবেরের প্রেরণায় সাহিত্যচর্চা শুরু করেন এবং ‘অগ্রগামী’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করেন (৩টি সংখ্যা)। সপ্তম শ্রেণীতে পড়াকালীন ‘রেড হর্নেট’ (১৯৫৪) নামে একটি ডিটেকটিভ উপন্যাস রচনা করেন। ‘অরণ্য বাসর’ এবং ‘আমি সম্রাট’ নামে আরও দুটি রোমাঞ্চকর উপন্যাস লিখেছিলেন। ১৯৮৪ সালের পর আর লেখালেখি করেননি।
দ্বিতীয় মো. মাহমুদুল হক (রুবেল): শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তার বিএনপির সাথে সক্রিয় রাজনৈতিক জীবনের তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২৩ সালে তাঁর আংশিক আহ্বায়ক কমিটি স্থগিত করা হয়। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে তার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে আপনাদের অবহিত করা হবে।