মো. জালাল উদ্দিন: দুই ব্যক্তিত্বের কথা
প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, "মো. জালাল উদ্দিন" নামটি দুজন ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত। একজন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অন্যজন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য নিম্নে তাদের পৃথক পৃথক তথ্য উপস্থাপন করা হলো:
১. বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জালাল উদ্দিন:
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার জন্ম তারিখ অজানা। স্বাধীনতা যুদ্ধে অসাধারণ সাহসিকতার জন্য তাকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করা হয়। তার পৈতৃক বাড়ি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের পলাশবাড়িয়া গ্রামে। তার বাবার নাম ইসমাইল মোল্লা এবং মায়ের নাম বরু বিবি। তার স্ত্রীর নাম শিরিন জালাল।
পাকিস্তান নৌবাহিনীতে চাকরি করার সময় ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং পরে ভারতে যান। মে মাসে তাকে মুক্তিবাহিনীর নৌ কমান্ডো দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি বেশ কয়েকটি অপারেশনে অংশ নেন, ‘অপারেশন হটপ্যান্টস’সহ। ১০ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর বিমানের ভুলক্রমে বোমা হামলায় তাদের গানবোট ধ্বংস হলে তিনি সামান্য আহত হন। তিনি 'অপারেশন জ্যাকপট' এর অংশ হিসেবে হিরণ পয়েন্ট অভিযানেও অংশ নেন। ১৮ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার হরিনগরে পাকিস্তানি গানবোট আক্রমণের ঘটনায় তিনি অসীম সাহস ও রণকৌশল প্রদর্শন করেন।
২. ডা. মো. জালাল উদ্দিন আহমেদ:
ডা. মো. জালাল উদ্দিন আহমেদ বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ছিলেন। ২৪ অক্টোবর ২০২৪ সালে, বাগেরহাট সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে তিনি 'জয় বাংলা' স্লোগান দেন। এই ঘটনার পর, তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয় এবং পরবর্তীতে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। আন্দোলনের জেরে তাকে অপসারণের দাবি উঠেছিল।
আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা:
উভয় মো. জালাল উদ্দিন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জীবনীগত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।