মো. এনায়েত উল্লাহ

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:৪০ পিএম
নামান্তরে:
মো এনায়েত উল্লাহ
মো. এনায়েত উল্লাহ

মো. এনায়েত উল্লাহ নামে একাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিচিত। প্রদত্ত তথ্য অনুসারে দুইজনের কথা উঠে এসেছে। প্রথম ব্যক্তি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল। দ্বিতীয় ব্যক্তি জনতা ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র অফিসার এবং বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি। তাদের সম্পর্কে পৃথকভাবে আলোচনা করা হলো:

মো. এনায়েত উল্লাহ (সেনাবাহিনী):

এই মো. এনায়েত উল্লাহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৬৫ সালের ৭ জানুয়ারী পূর্ব পাকিস্তানের কুড়িগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর, তিনি পিএলএ ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি এবং ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকেও স্নাতক হন। এছাড়াও, তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ থেকে ডিফেন্স স্টাডিজে স্নাতকোত্তর এবং রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা থেকে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৫ সালের ১৯ মে ১২তম বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি লং কোর্সে কমিশন পান। তিনি ৬৬তম আর্টিলারী ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের জেনারেল স্টাফ অফিসার এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং-এর কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশন এবং জাতিসংঘ পূর্ব তিমুর সমন্বিত মিশনেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও, তিনি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রশাসন ও যুক্তিসংগত পরিচালন অধিদপ্তরের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। লেঃ কর্ণেল হিসেবে তিনি ২৭তম ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্ট এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে দুটি আর্টিলারী ব্রিগেডের কমান্ডার ছিলেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্টও ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ গলফ ফেডারেশন ও কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল নিযুক্ত হন।

মো. এনায়েত উল্লাহ (জনতা ব্যাংক ও মসলা ব্যবসায়ী):

এই মো. এনায়েত উল্লাহ জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অডিট জেনারেল শাখায় সিনিয়র অফিসার ছিলেন। তিনি ১৯৮৭ সালের ১ ডিসেম্বর গুডাউন কিপার হিসেবে জনতা ব্যাংকে যোগদান করেন। ২০১০ সালে অফিসার এবং ২০১৬ সালে সিনিয়র অফিসার হিসেবে পদোন্নতি পান। পরবর্তীতে তিনি অবসরে যান। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে। তদন্তে তাঁর বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর নামে ১ কোটি ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫১২ টাকা মূল্যের স্থাবর এবং ৮ কোটি ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ১৪২ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিও ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৩৫ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টা এবং পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা হয়েছে।

এই দুই মো. এনায়েত উল্লাহ-র মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট করার জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন। আমরা যখনই আরও তথ্য পাবো, তখন আপনাকে আপডেট করে দেব।

মূল তথ্যাবলী:

  • মো. এনায়েত উল্লাহ নামে দুই ব্যক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিচিত।
  • একজন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল।
  • অপরজন জনতা ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ও মসলা ব্যবসায়ী।
  • দুদক জনতা ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করেছে।
  • মসলা ব্যবসায়ী এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মো এনায়েত উল্লাহ

মো. এনায়েত উল্লাহ, ইমরোজ হোসেন এবং আবুল খায়ের চৌধুরী ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশনের নতুন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।