মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:২৩ এএম
নামান্তরে:
মো আবদুল্লাহ আল ফারুক
মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক: দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ

মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত বছরের জুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে নোয়াখালীতে পুলিশ হত্যার ঘটনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ৫ আগস্ট, ২০২৩ সোনাইমুড়ী থানায় সংঘটিত হামলা, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ কনস্টেবল হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের তদন্তের নেতৃত্ব দেন তিনি। তদন্তে তিনি উল্লেখ করেন, টিকটকে পুলিশের অস্ত্র নিয়ে একজনের ছবি পোস্ট করা দেখে এলাকার মানুষই পুলিশকে খবর দেয় এবং পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা থানায় হামলা, লুটপাট ও পুলিশ হত্যায় নিজের সম্পৃক্তির কথা স্বীকার করেন।

এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অনেকের মতে, গ্রেপ্তারকৃতরা ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিল না বরং স্থানীয় কিশোর গ্যাং ‘বুলেট গ্যাং' এর সদস্য ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান' সংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য কোনো মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না বলে ঘোষণা করলেও পুলিশ হত্যার ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রাখার বিষয়ে মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

তিনি বিভিন্ন সময় নোয়াখালীর বিভিন্ন থানার ওসি বদলি ও পদায়ন করেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় তদন্ত ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার ভারও তাঁর উপর ছিল। তাঁর নেতৃত্বে নোয়াখালী পুলিশ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। তবে পুলিশ হত্যায় বিচারের দাবীতে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে অনাস্থার কথাও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

মো. আবদুল্লাহ আল ফারুকের নেতৃত্বে নোয়াখালী পুলিশের কার্যক্রম সফল হলেও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এখনও বিদ্যমান রয়েছে। পুলিশ হত্যার ঘটনার বিচার, জনগণের বিশ্বাস অর্জন এবং জেলায় শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা তার সামনে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিদ্যমান।

মূল তথ্যাবলী:

  • নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক।
  • ৫ আগস্ট, ২০২৩ সোনাইমুড়ী থানায় পুলিশ হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
  • জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ের ঘটনায় তদন্ত ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
  • পুলিশ হত্যার ঘটনার বিচার, জনগণের বিশ্বাস অর্জন এবং জেলায় শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা তাঁর সামনে চ্যালেঞ্জ।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মো আবদুল্লাহ আল ফারুক

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান।