মোহাম্মদ আলী মিয়া

আপডেট: ১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭:১২ এএম

মোহাম্মদ আলী মিয়া: একজন বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তার জীবনী

বাংলাদেশ পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন মোহাম্মদ আলী মিয়া। তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান। তবে, তার কর্মজীবন বিতর্কের ছায়ায় মোড়া।

১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর ১৫তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে তিনি পুলিশে যোগদান করেন। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি), ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, নরসিংদী, হবিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০২২ সালের ১৬ আগস্ট তিনি সিআইডি প্রধানের দায়িত্ব পান। তবে, পরবর্তীতে তাকে এ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং সরকার তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে।

মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে তিনি সিআইডি প্রধান থাকাকালীন দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতায় নিজেকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছিলেন এবং কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে মাসোয়ারা দিয়ে নিজের ক্ষমতা বজায় রেখেছিলেন। এছাড়াও, তিনি সিআইডিতে নিজস্ব সিন্ডিকেট গঠন করে কয়েকশ ভুয়া অভিযোগ তদন্তের নামে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সাধারণ পুলিশ সদস্যদের হেনস্থার অভিযোগও রয়েছে। মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরে জানানো হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

মোহাম্মদ আলী মিয়া গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা। তার ব্যক্তিগত জীবন এবং পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বর্তমানে উপলব্ধ নেই। আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে আরও তথ্য পাওয়া গেলে এই লেখাটি আপডেট করা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মোহাম্মদ আলী মিয়া বাংলাদেশ পুলিশের একজন অতিরিক্ত আইজিপি ছিলেন।
  • তিনি সিআইডি প্রধান এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
  • তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
  • তিনি ১৫তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে পুলিশে যোগদান করেন।
  • তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।