মোর্শেদা বেগম নামটি একাধিক ব্যক্তি, সংগঠন বা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে। নিম্নে উল্লেখিত তথ্য থেকে বোঝা যায় যে, এটি কমপক্ষে তিনটি পৃথক মোর্শেদা বেগমের কথা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে:
প্রথম মোর্শেদা বেগম: বরিশালের একসময়ের তুখোর ছাত্রলীগ নেত্রী মোর্শেদা বেগম লিপি। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত। ১৯৮১ সালে বরিশাল মহিলা কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সালে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক এবং ১৯৯৩ সালে বরিশাল জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ২০১৪ সালে যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৩ সালে তাকে মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। তিনি বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম হেমায়েত উদ্দীন আহমেদের কন্যা। বর্তমানে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন এবং সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য।
দ্বিতীয় মোর্শেদা বেগম: ঢাকার মোহাম্মদপুরের একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য, যাদের পরিবারের খাদ্যতালিকায় ডিমের দাম বৃদ্ধির কারণে ডিমের ব্যবহার কমে গেছে।
তৃতীয় মোর্শেদা বেগম: একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ছেলেকে হারানো একজন মাতা। তার ছেলে মামুন মৃধা ওই হামলায় নিহত হন। তিনি এবং তার স্বামী মোতালেব মৃধা বৃদ্ধ বয়সে বিভিন্ন রোগে ভোগেন এবং অর্থনৈতিকভাবে অনটনের সম্মুখীন।
চতুর্থ মোর্শেদা বেগম: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তাঁর স্বামী তানভীর আহমেদ কর্তৃক আগুনে পুড়িয়ে হত্যার শিকার হন। তিনি ২২ বছর বয়সী ছিলেন।
পঞ্চম মোর্শেদা বেগম: কুড়িগ্রামের একজন নারী উদ্যোক্তা, যিনি হাতে তৈরি টুপি তৈরির ব্যবসায় জড়িত। তিনি বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে লাখপতি হয়েছেন।
ষষ্ঠ মোর্শেদা বেগম: কুমিল্লার দাউদকান্দির একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী, যিনি হামাগুড়ি দিয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করেন।
উপরোক্ত তথ্য ছাড়া আরও কোনো তথ্য পাওয়া গেলে আমরা আপনাকে অবগত করব।