মো:মহিবুল্লাহ জিহাদি

মোঃ মহিবুল্লাহ জিহাদি নামে পরিচিত ব্যক্তিটি জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার নায়েবে আমির ছিলেন। তিনি ৪৮ বছর বয়সী এবং বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলে তার ব্যাপক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ছিল। তিনি ধর্মীয় অপব্যাখ্যার মাধ্যমে তরুণদের জিহাদের নামে জঙ্গিবাদে প্রশিক্ষণ দিতেন এবং তাদের ঢাকা হয়ে পাহাড়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করতেন। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে, ডাঃ শাকের ওরফে শিশির এবং পলাতক জঙ্গি নেতা শামীন মাহফুজের সাথে তিনি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম পাহাড়ে অবস্থিত জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যান। সেখানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর তত্ত্বাবধানে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ চলছিল। তিনি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণরত সদস্যদের ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিয়ে জিহাদের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করতেন। পাহাড়ে কিছুদিন অবস্থানের পর ঢাকায় ফিরে এসে শুরা কমিটির সদস্যদের সাথে এনক্রিপ্টেড চ্যাটের মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করতেন এবং দাওয়াতের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ করতেন। হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় যাতায়াত করে জিহাদ সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতেন। ডাঃ শাকেরের গ্রেপ্তারের পর তিনি নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন। তাকে ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। তিনি হরকাতুল জিহাদ (হুজি-বি) এর সাথেও যুক্ত ছিলেন এবং হুজি নেতা মুফতি আব্দুর রউফের সাথে সম্পর্ক ছিল। ২০১৭ সালে ভোলায় হুজির আরেক নেতা মাইনুল ইসলাম ওরফে রক্সির সাথে তার দেখা হয়। ২০২১ সালে রক্সির গ্রেপ্তারের পর হুজির আরেক সদস্য রাকিবের সাথে তার যোগাযোগ হয়। মো. মহিবুল্লাহ চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আল জামেয়াতুল আহেলিয়া দারুল উলুম মইনূল ইসলাম মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র। তার বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।