বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা
বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের যাত্রা শুরু হয় ৯০-এর দশকের শেষের দিকে। প্রথম প্রজন্মের মোবাইল ফোনগুলো আকারে বেশ বড় ছিল, উপরে অ্যান্টেনা ছিল এবং ওজনের জন্য বহন করাও কষ্টকর ছিল। এগুলোকে ‘ব্রিক ফোন’ বলা হতো। এসময় মোবাইল ফোনে শুধু কল করার সুবিধা ছিল।
২০০০ সালের প্রারম্ভে ‘বার ফোন’ বা ‘ফিচার ফোন’ বাজারে আসে। এগুলোতে ছিল টেক্সট মেসেজ, এমএমএস, পলিফোনিক রিংটোন, এফএম রেডিও, ৩.৫ মিমি জ্যাক, সহজ গেমস, ব্লুটুথ এবং কিছু কিছুতে নিম্নমানের ব্যাক ক্যামেরাও ছিল। ফিনল্যান্ডের নোকিয়া তখন ফিচার ফোনের বাজারে শীর্ষস্থানে ছিল। নোকিয়া ৩৩১০, ১১০০, ১১১০, ৩২১০, ৬৬০০, ২৬০০ ইত্যাদি ফোন বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
মধ্য ২০০০ সালে প্রথম প্রজন্মের স্মার্টফোন আসে। নোকিয়া এবং ব্ল্যাকবেরি তখন এ খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসময় টাচস্ক্রিন এবং অ্যাপের ব্যবহার ছিল না। ইন্টারনেট ব্যবহারও ধীর গতির GPRS প্রযুক্তির মাধ্যমে হতো। ২০২১ সালে ৩G নেটওয়ার্ক আসার পর ইন্টারনেট ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।
২০০৮ সালের শেষের দিকে এইচটিসি ড্রিম নামে প্রথম বাণিজ্যিক অ্যান্ড্রয়েড ফোন বাজারে আসে। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের আবির্ভাবের ফলে মোবাইল ফোনের বাজারের চেহারা পাল্টে যায়। ২০২১ সালে বাংলাদেশে ৩G নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার পর অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। সিম্ফনি এবং স্যামসাং তখন বাংলাদেশে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের বাজারে শীর্ষস্থানে ছিল। ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী অ্যান্ড্রয়েডের বাজার ভাগ ৭০.৯৩% এবং বাংলাদেশে ৯৫.৭২%।
বর্তমানে বাংলাদেশের অনলাইন মোবাইল বাজারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের উন্নতমানের স্মার্টফোন পাওয়া যায়। স্যামসাং, অ্যাপল, ওয়ানপ্লাস, শাওমি, অপ্পো, ভিভো, রিয়েলমি, ইনফিনিক্স ইত্যাদি ব্র্যান্ড জনপ্রিয়। অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেলের মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।