হাইতিতে ‘মিকানো’ নামে পরিচিত মোনেল ফেলিক্স নামের একজন গ্যাং নেতার নেতৃত্বে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্যারিবীয় দেশটিতে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হাইতির সিটি সোলেইলে অপরাধী গোষ্ঠীর অন্তর্দ্বন্দ্বে অন্তত ২০৭ জন নিহত হয়েছেন। পরবর্তীতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০৯-এ পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। মিকানোর নেতৃত্বাধীন হোয়ার্ফ জেরেমি গোষ্ঠীর প্রায় তিনশ সদস্য ১৩৪ জন পুরুষ ও ৭৩ জন নারীকে হত্যা করেছে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অনেকেই বৃদ্ধ নাগরিক, যাদের বিরুদ্ধে ‘ভুডু’ জাদু করার অভিযোগ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। মিকানো দাবি করেছেন, তার সন্তানের অসুস্থতার জন্য এলাকার বাসিন্দারা ‘ভুডু’ জাদু করেছেন। জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, হত্যাকাণ্ডের শিকার অনেকেই ভুডু মন্দির ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে হাইতির একাধিক বন্দর, বন্দর সংলগ্ন এলাকা, গুদাম ও জাতীয় সড়ক মিকানোর গ্যাংয়ের দখলে ছিল বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। হত্যালীলার পর গ্যাংয়ের সদস্যরা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়, লাশ পুড়িয়ে সাগরে ফেলে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করে। জাতিসংঘের মতে, জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত হাইতিতে ৫৩০০-এরও বেশি মানুষ খুন হয়েছে, আর ২০২২ সালের শুরু থেকে মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশের ভেতরেই উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে ৭ লাখের বেশি মানুষ। এই নৃশংসতার জন্য দায়ী মোনেল ‘মিকানো’ ফেলিক্স গ্যাং নেতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।
মোনেল মিকানো ফেলিক্স
মূল তথ্যাবলী:
- মোনেল ‘মিকানো’ ফেলিক্স নামের গ্যাং নেতা হাইতিতে ২০৭ জনের অধিক হত্যার জন্য দায়ী।
- তার গ্যাং হোয়ার্ফ জেরেমি গোষ্ঠী ১৩৪ পুরুষ ও ৭৩ নারীকে হত্যা করে।
- ‘ভুডু’ জাদুর অভিযোগে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে দাবি করা হয়।
- হত্যাকাণ্ডের পর প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করা হয়।
- জাতিসংঘ গত ১৫ বছর ধরে মিকানোর গ্যাংয়ের হাইতির বন্দর ও সড়ক দখলের কথা উল্লেখ করেছে।
গণমাধ্যমে - মোনেল মিকানো ফেলিক্স
মোনেল ‘মিকানো’ ফেলিক্স হোয়ার্ফ জেরেমি গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে সিটি সোলেইলে হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।