মোঃ সেলিম

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৪:৪৮ এএম

মোঃ সেলিম নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, তাই স্পষ্টতার জন্য বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন। উপলব্ধ তথ্য অনুযায়ী, দুই ধরণের মোঃ সেলিম সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে:

১. মহম্মদ সেলিম (ভারত):

এই মহম্মদ সেলিম একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ। তিনি ৫ই জুন ১৯৫৭ সালে দক্ষিণ কলকাতার কিডারপোর এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আজিজুল হক কলকাতা বন্দরের কর্মচারী ছিলেন এবং মাতা ল্যাডলি হক। তিনি সেন্ট বারনাবেস হাই স্কুল, কলকাতা থেকে পড়াশোনা করেন এবং পরে মৌলানা আজাদ কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে স্নাতক এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।

ছাত্রজীবনেই তিনি ছাত্র রাজনীতিতে যোগদান করেন এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) - CPI(M) এর সাথে যুক্ত হন। তিনি ১৯৯০ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দু'বার রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। ২০০১ সালে এন্টালি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হন এবং ষষ্ঠ বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী হন। ২০০৪ সালে কলকাতা উত্তর পূর্ব লোকসভা কেন্দ্র থেকে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে তিনি CPI(M) এর পলিটব্যুরো সদস্য নির্বাচিত হন এবং বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কলকাতা উত্তর পূর্ব, রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র এবং চণ্ডীতলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।

২. হাজী মোহাম্মদ সেলিম (বাংলাদেশ):

এই মোহাম্মদ সেলিম একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সংসদ সদস্য, যিনি হাজী সেলিম বা হাজী মোঃ সেলিম নামেও পরিচিত। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং তিন মেয়াদে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ৫ অক্টোবর ১৯৫৮ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে ঢাকা-৮ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তিনি ১০ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন।

উপরোক্ত তথ্য ছাড়াও আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • মহম্মদ সেলিম (ভারত) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং CPI(M) এর পলিটব্যুরো সদস্য।
  • তিনি একাধিকবার লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদ এবং বিধানসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
  • হাজী মোঃ সেলিম (বাংলাদেশ) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
  • দুর্নীতির মামলায় হাজী মোঃ সেলিম ১০ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।