মুরাদ

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:৩৩ এএম

মুরাদ হাসান: বাংলাদেশের রাজনীতির একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব

মুরাদ হাসান (জন্ম: ১০ অক্টোবর, ১৯৭৪) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, যিনি জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং একসময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মতিয়ার রহমান তালুকদার এবং মাতার নাম মনোয়ারা বেগম মনু। তার ভাই মাহমুদ হাসান তালুকদার মিন্টু একজন আইনজীবী এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি। মুরাদ হাসানের স্ত্রী জাহানারা এহসান একজন চিকিৎসক।

শিক্ষাগত যোগ্যতায়, তিনি জামালপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি, নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে প্লাস্টিক ও পুনর্গঠনমূলক সার্জারির উপর স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিকিরণ ক্যান্সারবিজ্ঞানে এম.ফিল ডিগ্রি অর্জন করেন।

রাজনৈতিক জীবনে, তিনি প্রথমে ছাত্রদলের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং পরে ছাত্রলীগে যোগদান করেন। তিনি আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৮ এবং ২০১৮ সালে তিনি জামালপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৮ সালের মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং পরে ১৯ মে ২০১৯ থেকে ৭ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মুরাদ হাসান তার বিতর্কিত বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হন। ২০২১ সালের অক্টোবরে তিনি বাংলাদেশের সংবিধান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়ার দাবি জানান। এছাড়াও, তিনি একটি ফেসবুক লাইভে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে অশালীন ও বর্ণবাদী মন্তব্য করেন এবং একজন চিত্রনায়িকার সাথে একটি ফোনালাপে অশ্লীল কথোপকথনে লিপ্ত হন, যা পরে ভাইরাল হয়। এই ঘটনাগুলির পর তিনি ৭ ডিসেম্বর ২০২১ সালে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার বিরুদ্ধে তার স্ত্রী নির্যাতন ও হত্যার হুমকি প্রদানের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে তিনি দেশ ত্যাগ করেন এবং পরে ফিরে আসেন।

মুরাদ হাসানের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবন বিতর্ক ও সমালোচনায় পরিপূর্ণ। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বিতর্কিত চরিত্র হিসাবে পরিচিত।

মুরাদ হাসান: রাজনৈতিক জীবন ও বিতর্ক

মূল তথ্যাবলী:

  • মুরাদ হাসান একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।
  • তিনি জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
  • তিনি স্বাস্থ্য ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
  • তার বিতর্কিত বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হন।
  • ২০২১ সালে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মুরাদ

১ জানুয়ারী ২০২৫

মুরাদ বেড়া পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ছিলেন এবং সংঘর্ষে লিপ্ত ছিলেন।

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

তৌফিকের বড় ভাই মুরাদ তৌফিককে বাসায় রেখে বাইরে যান এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।