কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ঘটনাটি ঘটে রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪। আব্দুল হাই কানু অভিযোগ করেছেন যে, কুলিয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ওষুধ কিনতে যাওয়ার সময় স্থানীয় জামায়াত কর্মী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাকে ধরে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করে। তিনি আরও জানান, হেনস্তাকারীরা তাকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, আব্দুল হাই হত্যাসহ ৯টি মামলার আসামি। জামায়াতে ইসলামি দাবি করেছে যে, ঘটনায় জড়িতরা তাদের সাথে সম্পৃক্ত নয়, তবে দুই সমর্থককে বহিষ্কার করেছে। মুক্তিযোদ্ধারা ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। আব্দুল হাই কানু লাঞ্ছনার পর লজ্জায় এলাকা ছেড়ে গেছেন বলে জানা গেছে।
মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছনা
মূল তথ্যাবলী:
- কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছনা
- বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু লাঞ্ছিত
- গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা
- ঘটনায় সরকারের তীব্র নিন্দা
- জড়িতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ
গণমাধ্যমে - মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছনা
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করা হয়।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করা হয়।
২০২৪-১২-২২
এই ট্যাগটি মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাকে নির্দেশ করে।