মান্দা, নওগাঁ: একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন
মান্দা, বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এই উপজেলার সমৃদ্ধ ইতিহাস, ভৌগোলিক অবস্থান, অর্থনীতি এবং জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এই প্রতিবেদনটি পড়ুন।
ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন:
মান্দা উপজেলার আয়তন ৪১৩.৯৭ বর্গ কিমি। উত্তরে মহাদেবপুর উপজেলা, দক্ষিণে রাজশাহী জেলার বাগমারা ও মোহনপুর উপজেলা, পূর্বে নওগাঁ সদর উপজেলা এবং পশ্চিমে নিয়ামতপুর উপজেলা অবস্থিত। উল্লেখযোগ্য জলাশয়ের মধ্যে আত্রাই ও শিব নদীর পাশাপাশি মান্দা বিল ও উথরাইল বিল উল্লেখযোগ্য।
জনসংখ্যা ও গ্রামীণ গঠন:
মান্দা উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ৪,০০,৭৮৬ জন (প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী)। পুরুষের সংখ্যা ২০৪,৪০১ জন এবং মহিলার সংখ্যা ১,৯৬,৩৮৫ জন। এই উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন, ২৯৯টি মৌজা এবং ২৮৬টি গ্রাম রয়েছে।
অর্থনীতি:
মান্দার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। প্রধান কৃষি ফসলের মধ্যে ধান, গম, সরিষা, আলু, আখ, তিল, কলাই এবং বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি অন্যতম। পাকা রাস্তার দৈর্ঘ্য ২৩১ কিমি, অর্ধপাকা রাস্তা ৩৫ কিমি এবং কাঁচা রাস্তা ৪৭২০ কিমি (তথ্যের কিছু অসঙ্গতি দেখা গেছে, বিভিন্ন উৎসে আয়তন ও রাস্তার দৈর্ঘ্যের পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে)।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
‘মান্দা’ নামের উৎপত্তি সম্পর্কে একটি কিংবদন্তী প্রচলিত আছে। এতে বলা হয়, বর্তমান কসবা মান্দায় (নামান্তরে ঠাকুরমান্দা) রঘুনাথ মন্দিরের সেবাইত ছিলেন জনৈক “মানোদা দেবী” এবং পুজারী ছিলেন জনৈক রঘুনাথ। এই কিংবদন্তীর উপর ভিত্তি করে এলাকার নামকরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। কুসুম্বা শাহী মসজিদ (১৫৫৮) এবং ঠাকুর মান্দার রঘুনাথ মন্দির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের পাকুরিয়া গ্রামে পাকবাহিনী ১২৮ জন লোককে হত্যা করেছিল বলে জানা যায়।
প্রশাসন:
মান্দা থানা ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৭ সালে এটি উপজেলায় রূপান্তরিত হয়।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য:
উপজেলার গড় শিক্ষার হার ৪৬.৩%। এখানে ১৩টি কলেজ, ৭৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৩টি মাদ্রাসা রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার জন্য রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৯, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১২ এবং কমিউনিটি ক্লিনিক ৪৯।
আরও তথ্যের জন্য:
উপরোক্ত তথ্য সম্পূর্ণ নয়। আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে আমরা এই প্রতিবেদনটি পরবর্তীতে আপডেট করব।