ইসলাম মানবজীবনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে এবং অন্যায়ভাবে রক্তপাত ও মানুষ হত্যা হারাম। কোরআন অনুসারে, একজন মানুষকে হত্যা করা সমগ্র মানবতাকে হত্যা করার সমতুল্য। (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩২)। মুফাসসিরদের মতে, ব্যাপক রক্তপাতে কেউ নিরাপদ থাকবে না বলেই একজনের হত্যা পুরো বিশ্বের হত্যার সাথে তুলনা করা হয়েছে।
মানুষ হত্যা মহাপাপ। রাসুল (সা.) বলেন, সবচেয়ে বড় পাপ হলো আল্লাহর শরিক সাব্যস্ত করা, মানুষ হত্যা, মাতা-পিতার অবাধ্যতা এবং মিথ্যা কথা বলা। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৮৭১)। খুনি ব্যক্তি আল্লাহর কাছে সর্বাধিক ঘৃণিত। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৭৮২)। মানুষ হত্যা নিজের ধ্বংসের দ্রুততম পথ। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৮৬৩)।
মানুষ হত্যার শাস্তি অত্যন্ত ভয়াবহ। পার্থিব শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং পরকালে জাহান্নাম। (সুরা : নিসা, আয়াত : ৯৩)। একজন মুমিনকে হত্যা করা দুনিয়া ও এর সকল কিছুর চেয়ে বড় অপরাধ। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৩৯৯২)। মুসলমানের খুনির ইবাদত কবুল হয় না। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪২২১)। একটি মুসলমানকে হত্যা করলে পুরো বিশ্ববাসী জাহান্নামে যাবে। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ১৩৯৮)।
আমাদের সমাজে রক্তপাত ও হত্যাকাণ্ড একটি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সামান্য বিষয় নিয়েও মানুষ ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়ে পরস্পরকে হত্যা করতে উদ্যত হয়। রাজনৈতিক, পারিবারিক ও সামাজিক দ্বন্দ্বে এটি সর্বত্র দেখা যায়। এটি রাষ্ট্রীয়ভাবেও গর্হিত অপরাধ। এসব থেকে বিরত থাকা অত্যন্ত জরুরী, নয়তো ইহকাল ও পরকালে ধ্বংস অনিবার্য।