মাওলানা মোস্তাক ফয়েজী

মাওলানা মোস্তাক ফয়েজী: একজন প্রভাবশালী ইসলামি বক্তা

মাওলানা মোস্তাক ফয়েজী, কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া নাগাইশ দরবার শরীফের পীর সাহেব, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। তিনি বাংলাদেশী প্রবাসীদের অবদান ও তাদের ত্যাগের প্রশংসা করে বেশ কয়েকটি বক্তৃতা দিয়েছেন। তার বক্তব্যগুলোতে তিনি প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদানের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি প্রবাসীদের 'রেমিট্যান্স যোদ্ধা' হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং তাদের কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগকে সম্মান করেছেন।

তার বক্তব্যগুলি শুধুমাত্র অর্থনীতির দিকেই সীমাবদ্ধ থাকে না, তিনি ইসলামের বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেন। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মাদরাসা তাহ্ফিজ নুরুল হিদায়াহ এর উদ্যোগে আয়োজিত একটি ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি উপস্থিত থেকে রোজার গুরুত্ব এবং ইফতারের ফজিলতের বিষয়টি তুলে ধরেন।

তবে, মাওলানা মোস্তাক ফয়েজী শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা দিয়েই সীমাবদ্ধ থাকেননি। 'মুরুব্বি মুরুব্বি' শব্দটি তাঁর মুখেই প্রথম শোনা যায়, যা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এই শব্দটি নিয়ে তিনি নিজেও ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, একটি মাহফিলে একজন বয়স্ক ব্যক্তির মাহফিল ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টাকে নিবৃত করার সময় তিনি এটি বলেছিলেন। পরবর্তীতে এটি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয় এবং অনেক ভিডিওতে ব্যবহারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

মাওলানা মোস্তাক ফয়েজীর বক্তৃতা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর উপস্থিতি তাকে একজন প্রভাবশালী ইসলামি বক্তা হিসেবে স্থাপন করেছে। তার বক্তব্যগুলির প্রভাব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্পষ্ট। তবে তাঁর জন্ম তারিখ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পরিবারের তথ্য ইত্যাদি বিষয়ে প্রকাশ্যে তথ্য পাওয়া যায়নি।

মূল তথ্যাবলী:

  • কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া নাগাইশ দরবার শরীফের পীর সাহেব হিসেবে পরিচিত।
  • বাংলাদেশী প্রবাসীদের অবদানের প্রশংসা করেছেন।
  • 'রেমিট্যান্স যোদ্ধা' শব্দটি তিনি প্রবাসীদের জন্য ব্যবহার করেছেন।
  • 'মুরুব্বি মুরুব্বি' শব্দটি তার মুখে প্রথম শোনা যায় যা পরবর্তীতে ভাইরাল হয়।
  • মালয়েশিয়ায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বক্তৃতা দিয়েছেন।

গণমাধ্যমে - মাওলানা মোস্তাক ফয়েজী

মাওলানা মোস্তাক ফয়েজী ওয়াজ মাহফিলে ‘উহু মুরুব্বি’ বলে ভাইরাল হন।