মাইক ওয়াল্টজ

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১:৪১ পিএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন মাইক ওয়াল্টজ। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা, রিপাবলিকান দলের প্রতিনিধি এবং একজন কঠোর চীন সমালোচক। ২০২৪ সালে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে তিনি সবসময়ই সমালোচনা করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে এ অঞ্চলে সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর বিশেষ বাহিনী ‘গ্রিন বেরেট’-এর সদস্য ছিলেন এবং ন্যাশনাল গার্ডে কর্নেল পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক অঙ্গনে তার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তিনি প্রতিরক্ষা সচিব ডোনাল্ড রামসফেল্ড এবং রবার্ট গেটসের প্রতিরক্ষা নীতি পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন এবং ২০১৮ সালে কংগ্রেসে নির্বাচিত হন। সামরিক রসদ তদারকির হাউজ আর্মড সার্ভিসেস উপকমিটির চেয়ারম্যান এবং গোপনীয়তা বিষয়ক নির্বাচিত কমিটিতেও তিনি ছিলেন। রিপাবলিকানদের চীন টাস্ক ফোর্সেও তার সদস্যপদ ছিল। তবে ইউক্রেন ইস্যুতে তার দৃষ্টিভঙ্গির কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর তিনি বাইডেন প্রশাসনকে কিয়েভে আরও অস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানালেও, পরে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। ন্যাটো মিত্রদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির জন্য ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন ওয়াল্টজ, তবে যুক্তরাষ্ট্রকে ন্যাটো থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করেননি। ফ্লোরিডার কংগ্রেস সদস্য হিসেবে তিনি বর্ণবাদী তত্ত্ব শিক্ষার বিরুদ্ধেও কাজ করেছেন এবং এ বিষয়ে সামরিক কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদের জন্যও তাকে বিবেচনা করা হয়েছিল। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে সামরিক নেতাদের বিষয়ে আরও কঠোর মনোভাবের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মাইক ওয়াল্টজ ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন।
  • তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা এবং গ্রিন বেরেটের সদস্য।
  • তিনি চীনের কঠোর সমালোচক এবং ভারতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
  • তিনি ২০১৮ সালে কংগ্রেসে নির্বাচিত হন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।