মনোয়ারা হক সিকদার

দুর্নীতির অভিযোগে জড়িত জয়নুল হক সিকদার পরিবারের সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই পরিবারের সদস্য মনোয়ারা হক সিকদারের নামও এই জব্দকৃত সম্পদের সাথে জড়িত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া দুদকের উপপরিচালক জি এম আহসানুলের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। জব্দকৃত সম্পদের মধ্যে রয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ১৩তলা ভবন, মার্কেটের তিনটি ফ্লোর, সিকদার রিয়েল এস্টেট বিল্ডিং, জেড এইচ সিকদার উইমেন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কামাল টাওয়ারের একটি অংশ, মুন্সিগঞ্জ, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্থাপনা এবং জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, মনোয়ারা হক সিকদারের মালিকানাধীন সিকদার রিয়েল এস্টেট লিঃ এর সম্পদসহ অন্যান্য স্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার ও ব্যাংকের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ঋণদানে অনিয়ম ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আত্মসাতকৃত অর্থ দিয়ে সিকদার পরিবারের সদস্যরা প্রচুর সম্পদ গড়ে তুলেছে। আদায়কৃত ভাড়ার টাকা মনোয়ারা হক সিকদার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যাংক হিসাবে জমা হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। মালিকপক্ষের বেশিরভাগ সদস্য বিদেশে অবস্থান করছেন এবং সম্পদ বিক্রি বা স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন বলেও জানা গেছে। তাই দুদক সম্পদ জব্দের আবেদন করেছিল।

মূল তথ্যাবলী:

  • মনোয়ারা হক সিকদারের নাম জড়িত দুর্নীতির অভিযোগে
  • আদালত সিকদার পরিবারের সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছে
  • জব্দকৃত সম্পদের মধ্যে রয়েছে মনোয়ারা হক সিকদারের মালিকানাধীন সম্পত্তি
  • ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
  • আত্মসাতকৃত অর্থ দিয়ে সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ

গণমাধ্যমে - মনোয়ারা হক সিকদার

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

মনোয়ারা হক সিকদার ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন এবং দুর্নীতির অভিযোগে তার সম্পত্তি জব্দ হয়েছে।

ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মনোয়ারা হক সিকদারের সম্পদ জব্দের আদেশ হয়েছে।