জয়নুল হক সিকদার

জয়নুল হক সিকদার: বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি ব্যবসায়ী এবং সিকদার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৩০ সালের ১২ আগস্ট ব্রিটিশ ভারতের আসামে জন্মগ্রহণ করেন। ভারত বিভাগের পর পূর্ব বাংলায় চলে আসেন। তিনি রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে যাত্রা শুরু করে ১৯৫০-এর দশকে সিকদার গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণের পাশাপাশি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনার পর শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য প্রার্থনা সভার আয়োজনের কারণে তাকে কারাবন্দী করা হয়। জয়নুল হক সিকদার ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, সিকদার রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, সিকদার ফার্মা, মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জেডএইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জেডএইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পোস্ট, পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন, পাওয়ার প্যাক হোল্ডিংস, পাওয়ার প্যাক পোর্টস, এবং সিকদার ইন্স্যুরেন্সসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি কোদালপুরে আবদুর রাজ্জাক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, জরিনা সিকদার গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মনোয়ারা সিকদার গার্লস হাই স্কুল, এবং মকফর উদ্দিন জাতীয় আইন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০০৯ সালে তিনি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড কিনে নেন। ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার পাঁচ ছেলে এবং তিন মেয়ে ছিল। জয়নুল হক সিকদারের জীবন ও কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের ব্যবসায়িক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

মূল তথ্যাবলী:

  • জয়নুল হক সিকদার সিকদার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা
  • তিনি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন
  • স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন
  • ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য প্রার্থনার আয়োজন করে কারাবন্দী হয়েছিলেন
  • অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন
  • ২০২১ সালে দুবাইয়ে মৃত্যুবরণ করেন

গণমাধ্যমে - জয়নুল হক সিকদার

জয়নুল হক সিকদারের ১৫টি প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে।

জয়নুল হক সিকদারের মালিকানাধীন ১৫টি প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে।