মংলারগাঁও, দোয়ারাবাজার

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:৫৮ এএম
নামান্তরে:
মংলারগাঁও দোয়ারাবাজার
মংলারগাঁও, দোয়ারাবাজার

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মংলারগাঁও: একটি গ্রামের আঘাত

সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার মংলারগাঁও গ্রামটি সম্প্রতি একটি ভয়াবহ ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বর রাতে, এক কিশোরের ফেসবুক পোস্টে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে, উত্তেজিত জনতা গ্রামে হামলা চালিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর, দোকানপাট এবং লোকনাথ মন্দিরে ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

এই ঘটনার পর, পুলিশ ওই কিশোরকে আটক করে এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ গ্রামে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বেশির ভাগ বাসিন্দাই কিছুদিনের জন্য আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে পরে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর অনেক বাসিন্দাই নিজেদের বাড়ি ফিরেছে।

ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, তাদের বাড়িঘর, দোকানপাট ও মন্দিরগুলিতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। অনেক পরিবার আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং মেরামতের জন্য সাহায্যের আশায় আছে।

প্রশাসনের বক্তব্য: প্রশাসন পরিস্থিতি শান্ত থাকার কথা জানিয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের কথা বলেছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ ও ঠিক কতগুলো বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে সম্পর্কে বিভিন্ন মত প্রকাশ পেয়েছে।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি: স্থানীয় মানুষ জানিয়েছে অতীতে এই দুটি গ্রামে হিন্দু-মুসলমান শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করত। এই ঘটনা সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

পরবর্তী উন্নয়ন: ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে। আইনি প্রক্রিয়া চলছে। তবে এই ঘটনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ও গ্রামের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা সম্পর্কে আমরা আপনাকে পরবর্তীতে আপডেট করবো।

মূল তথ্যাবলী:

  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪-এ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মংলারগাঁওয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
  • এক কিশোরের ফেসবুক পোস্টে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে হামলা চালানো হয়।
  • হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, দোকানপাট এবং মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
  • পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।
  • প্রশাসন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।