ভেজাল সার: কৃষকদের সতর্কতা ও শনাক্তকরণের উপায়
অধিক ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের ফসলের চাষাবাদ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে রাসায়নিক সারের ব্যবহারও বেড়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নকল বা ভেজাল সার তৈরি ও বিক্রি করে কৃষকদের ক্ষতি করছে। তাই কৃষকদের সতর্ক থাকা ও ভেজাল সার শনাক্ত করার উপায় জানা অত্যন্ত জরুরি।
বিভিন্ন ধরণের সার শনাক্তকরণ:
১. ইউরিয়া সার:
- আসল ইউরিয়া সারের দানাগুলো সমান আকারের হয়।
- কাঁচের গুঁড়া বা লবণ মিশে থাকলে ভেজাল বলে ধরা হয়।
- অল্প পরিমাণ ইউরিয়া সার গরম করলে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ বের হবে এবং তা গলে যাবে। যদি না গলে, তাহলে ভেজাল।
২. টিএসপি সার:
- আসল টিএসপি সার পানিতে দ্রবীভূত হতে ৪-৫ ঘন্টা সময় নেয়। ভেজাল টিএসপি দ্রুত গলে যাবে।
৩. ডিএপি সার:
- অল্প পরিমাণ ডিএপি সার গরম করলে এক মিনিটের মধ্যে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ বের হবে এবং তা গলে যাবে। যদি না গলে তাহলে ভেজাল, আংশিক গলে তাহলে আংশিক ভেজাল।
- ডিএপি সারে চুন মিশিয়ে ঘষলেও অ্যামোনিয়ার গন্ধ বের হবে।
৪. এমওপি বা পটাশ সার:
- এতে ইটের গুঁড়া ভেজাল হিসেবে মেশানো হতে পারে। পানিতে মিশালে ভেজাল উপাদান গলে না গিয়ে তলায় জমে থাকবে।
৫. জিংক সালফেট সার:
- এতে পটাশিয়াম সালফেট ভেজাল হিসাবে মিশানো হতে পারে। সমপরিমাণ জিংক সালফেট ও পটাশিয়াম সালফেট একসাথে ঘষলে ঠান্ডা অনুভূতি হবে এবং দইয়ের মতো গলে যাবে।
উল্লেখ্য: উপরোক্ত পরীক্ষাগুলো সহজে কৃষকরা নিজেরাই করতে পারেন। তবে, ভেজাল সারের বিস্তারিত তথ্য ও শনাক্তকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।