ভেজাল সার

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ পিএম

ভেজাল সার: কৃষকদের সতর্কতা ও শনাক্তকরণের উপায়

অধিক ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের ফসলের চাষাবাদ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে রাসায়নিক সারের ব্যবহারও বেড়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নকল বা ভেজাল সার তৈরি ও বিক্রি করে কৃষকদের ক্ষতি করছে। তাই কৃষকদের সতর্ক থাকা ও ভেজাল সার শনাক্ত করার উপায় জানা অত্যন্ত জরুরি।

বিভিন্ন ধরণের সার শনাক্তকরণ:

১. ইউরিয়া সার:

  • আসল ইউরিয়া সারের দানাগুলো সমান আকারের হয়।
  • কাঁচের গুঁড়া বা লবণ মিশে থাকলে ভেজাল বলে ধরা হয়।
  • অল্প পরিমাণ ইউরিয়া সার গরম করলে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ বের হবে এবং তা গলে যাবে। যদি না গলে, তাহলে ভেজাল।

২. টিএসপি সার:

  • আসল টিএসপি সার পানিতে দ্রবীভূত হতে ৪-৫ ঘন্টা সময় নেয়। ভেজাল টিএসপি দ্রুত গলে যাবে।

৩. ডিএপি সার:

  • অল্প পরিমাণ ডিএপি সার গরম করলে এক মিনিটের মধ্যে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ বের হবে এবং তা গলে যাবে। যদি না গলে তাহলে ভেজাল, আংশিক গলে তাহলে আংশিক ভেজাল।
  • ডিএপি সারে চুন মিশিয়ে ঘষলেও অ্যামোনিয়ার গন্ধ বের হবে।

৪. এমওপি বা পটাশ সার:

  • এতে ইটের গুঁড়া ভেজাল হিসেবে মেশানো হতে পারে। পানিতে মিশালে ভেজাল উপাদান গলে না গিয়ে তলায় জমে থাকবে।

৫. জিংক সালফেট সার:

  • এতে পটাশিয়াম সালফেট ভেজাল হিসাবে মিশানো হতে পারে। সমপরিমাণ জিংক সালফেট ও পটাশিয়াম সালফেট একসাথে ঘষলে ঠান্ডা অনুভূতি হবে এবং দইয়ের মতো গলে যাবে।

উল্লেখ্য: উপরোক্ত পরীক্ষাগুলো সহজে কৃষকরা নিজেরাই করতে পারেন। তবে, ভেজাল সারের বিস্তারিত তথ্য ও শনাক্তকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

মূল তথ্যাবলী:

  • অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল সার বাজারজাত করছে।
  • কৃষকদের ভেজাল সার চেনার উপায় জানা জরুরি।
  • ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি, এমওপি, জিংক সালফেট সারের ভেজাল শনাক্তের সহজ পদ্ধতি রয়েছে।
  • সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে কৃষকরা নিজেরাই ভেজাল সার শনাক্ত করতে পারেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ভেজাল সার

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

ভেজাল সার কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছে এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

অনুমোদনহীন সার জব্দ ও ব্যবসায়ীকে জরিমানা করার ঘটনাটি গোপালগঞ্জের কৃষিক্ষেত্রে ভেজাল সার প্রতিরোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।