ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়: বাংলাদেশের উন্নতমানের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় (BRAC University) বাংলাদেশের একটি অগ্রণী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা ২০০১ সালে স্যার ফজলে হাসান আবেদের নেতৃত্বে ব্র্যাকের একটি শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। আমেরিকান লিবারেল আর্ট কলেজ মডেলের উপর ভিত্তি করে গঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রথমে ঢাকার মহাখালীতে মাত্র তিনটি বিভাগ এবং ৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ২০০৬ সালে এর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ২০টি স্কুল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৪,০০০ এর অধিক শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান করে। উচ্চ মানের শিক্ষার পাশাপাশি আয়েশা আবেদ লাইব্রেরির ডিজিটালকরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি ডিজিটাল শিক্ষার দিকেও অগ্রসর হয়েছে।

২০১৭ সালে মেরুল বাড্ডায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সিঙ্গাপুরের WOHA Designs Pte Ltd. কর্তৃক নকশাকৃত এই ১৪ তলা ভবনটিতে ৭০০ আসনের অডিটোরিয়াম, ১৮৫০ আসনের বহুমুখী হল, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরি, ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। মহাখালীর অস্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মেরুল বাড্ডার স্থায়ী ক্যাম্পাসে সকল কার্যক্রম স্থানান্তরিত হয়। এছাড়াও সাভারে একটি আবাসিক ক্যাম্পাস রয়েছে যেখানে স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক ত্রৈমাসিক আবাসিক সেমিস্টার 'টার্ক' অনুষ্ঠিত হয়।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিকভাবে কম সচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরণের বৃত্তি প্রদান করে। তবে সম্প্রতি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একজন খন্ডকালীন শিক্ষকের পাঠ্যবই ছিঁড়ে রূপান্তরকামীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রদর্শনের ঘটনায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার পর শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে।

ব্র্যাক বিশ্ব্ববিদ্যালয় উচ্চমানের শিক্ষা, গবেষণা, এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার জন্য পরিচিত। তবে সাম্প্রতিক বিতর্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির উপর কিছুটা প্রভাব ফেলেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত।
  • স্যার ফজলে হাসান আবেদ এর প্রতিষ্ঠাতা।
  • আমেরিকান লিবারেল আর্টস কলেজ মডেল অনুসরণ করে।
  • মেরুল বাড্ডায় স্থায়ী ক্যাম্পাস।
  • আর্থিকভাবে কম সচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি।

গণমাধ্যমে - ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

২২ ডিসেম্বর ২০২৪

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কর্মসূচিতে বক্তব্য দিয়েছেন।