ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক: একজন বিশিষ্ট আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৪৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থার সাথে জড়িত ছিলেন এবং রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথেও যুক্ত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ভূমিকা:
২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসামি পক্ষের প্রধান কৌঁসুলি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়কালে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলায় আসামিদের প্রতিনিধিত্ব করেন। তার প্রতিনিধিত্ব করা ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, আলী আহসান মোহাম্মদ মোজাহেদ এবং আব্দুল কাদের মোল্লা সহ অন্যান্য জামায়াত নেতারা।
জামায়াতে ইসলামী ও পদত্যাগ:
তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন। তবে ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ সালে লন্ডন থেকে তিনি জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে দলের অবস্থানের সমালোচনা করেন এবং জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার পরামর্শ দেন। এই পদত্যাগ রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।
লন্ডনে বসবাস ও দেশে প্রত্যাবর্তন:
তিনি ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছিলেন এবং চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর তিনি লন্ডন থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
পেশাগত জীবন:
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক লন্ডনে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ১৯৮০ সালে ব্রিটিশ বার অ্যাট ল (ব্যারিস্টার) ডিগ্রী লাভ করেন এবং ১৯৮৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত লন্ডনে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। এরপর তিনি বাংলাদেশে ফিরে আইন পেশা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে আবারও লন্ডনে ফিরে যান।
পরিবার:
তার দুই ছেলে লন্ডন থেকে ব্রিটিশ বার অ্যাট ল লাভ করেছে। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে।
অন্যান্য তথ্য:
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পেশাদার জীবনে বিভিন্ন ধরণের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বারা হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাকে পুরো ও সুষ্ঠু প্রতিরক্ষা পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।