বৈকুণ্ঠপুর নামটি দিয়ে একাধিক স্থানকে বোঝানো হতে পারে, যার ফলে কিছুটা দ্ব্যর্থতা দেখা দিতে পারে। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, বৈকুণ্ঠপুর নামের কয়েকটি স্থানের উল্লেখ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে একটি বনভূমি, একটি গ্রাম পঞ্চায়েত, এবং একটি শহর। এই তথ্য নির্ভর করে, নিচে বৈকুণ্ঠপুর সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হল:
১. বৈকুণ্ঠপুর বন (শিলিগুড়ি): শিলিগুড়ির কাছে অবস্থিত এই বনভূমি পর্যটনের জন্য খোলা হচ্ছে। এখানে ২৯টি নদী ও ঝোরার উৎসস্থল রয়েছে। বনভূমিতে বুনো হাতি, চিতাবাঘ, এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও প্রাণী দেখা যায়। পর্যটকদের সুরক্ষার জন্য ওয়াচ টাওয়ার ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। শিলিগুড়ির সালুগাড়া থেকে গজলডোবা পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার করা হচ্ছে এই বনভূমি পর্যটনের জন্য উন্মোচন করার জন্য। রাজ্য পর্যটন দপ্তর চার কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করেছে এই উদ্যোগের জন্য।
২. বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েত (পূর্ব বর্ধমান): পূর্ব বর্ধমান জেলায় অবস্থিত এই গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজের কথা উল্লেখ রয়েছে। নতুন পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পর কাজের গতি বাড়িয়ে মানুষকে সঠিক সেবা দিতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েতের উদ্যোগে পাকা রাস্তা ও ড্রেন তৈরির কথা বলা হয়েছে। স্বচ্ছতা অভিযানের মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিরও কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মনুশ্রী মন্ডল এবং উত্তম কুমার ঘোষ যথাক্রমে প্রধান ও উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৩. বৈকুণ্ঠপুর (মধ্যপ্রদেশ): মধ্য প্রদেশের রেৱা জেলার একটি নগর পঞ্চায়েত শাসিত শহর। ২০০১ সালের জনগণনা অনুসারে জনসংখ্যা ছিল ৯৩০১।
৪. বৈকুণ্ঠপুর (ছত্তিসগড়): ছত্তিসগড় রাজ্যের করিয়া জেলার একটি শহর। ২০০১ সালের জনগণনা অনুসারে জনসংখ্যা ছিল ১০,০৭৬।
উপরোক্ত তথ্যগুলি থেকে বোঝা যায় যে, ‘বৈকুণ্ঠপুর’ একটি বহু অর্থবহ শব্দ। যে বৈকুণ্ঠপুর সম্পর্কে তথ্য জানতে চান, সেটি স্পষ্ট করলে আমরা আরও বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে পারব।