বেপরোয়া গাড়ি চালনা

আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২:০৭ এএম

বাংলাদেশে বেপরোয়া গাড়ি চালনা একটি ব্যাপক সমস্যা, যার ফলে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এবং আরও অনেকে আহত হয়। এই সমস্যার মূলে রয়েছে ট্রাফিক আইন অমান্য, চালকদের অবহেলা, যানবাহনের অবস্থা, এবং আইন প্রয়োগের দুর্বলতা।

মোটরযান আইন, ১৯৮৩ এবং সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এ বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য বিভিন্ন ধরণের শাস্তির বিধান রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে চালককে কারাদণ্ড, জরিমানা, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে। দণ্ডের পরিমাণ দুর্ঘটনার তীব্রতা এবং এর ফলে সৃষ্ট ক্ষতির উপর নির্ভর করে। ২০১৯ সালে কার্যকর হওয়া নতুন সড়ক পরিবহন আইনে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফলে কারো মৃত্যু হলে চালককে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

তবে, আইন থাকা সত্ত্বেও বাস্তবে এর প্রয়োগ দুর্বল। অনেক চালকই ট্রাফিক আইন অমান্য করে বেপরোয়া গাড়ি চালায় এবং তাদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। ট্রাফিক পুলিশের দুর্বলতা এবং ঘুষের সংস্কৃতিও এই সমস্যার অন্যতম কারণ।

সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সরকারকে আরও কঠোর আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। চালকদের প্রশিক্ষণের মান উন্নত করতে হবে, এবং সড়ক ও যানবাহনের অবস্থা উন্নত করতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও ট্রাফিক আইন মেনে চলার সংস্কৃতি গঠন করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনও এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বেপরোয়া গাড়ি চালনার ফলে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।
  • মোটরযান আইন ও সড়ক পরিবহন আইনে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
  • আইন প্রয়োগের দুর্বলতা ও ঘুষের সংস্কৃতি এই সমস্যা বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে।
  • সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে কঠোর আইন প্রয়োগ, চালক প্রশিক্ষণ, এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - বেপরোয়া গাড়ি চালনা

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

প্রাইভেটকারটি বেপরোয়া গতিতে চালিত হচ্ছিল।

বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।