বেথুলী গ্রামের পুকুর: একটি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বেথুলী গ্রাম, একটি গ্রামীণ পরিবেশের সাধারণ ছবি। কিন্তু গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, বিকেলের একটি ঘটনা এই গ্রামের একটি পুকুরকে মর্মান্তিক স্মৃতির সাক্ষী করে তুলেছে। তিনটি শিশু - ফাতেমা খাতুন (৮), তাসনিম হোসেন (১১) এবং জিম খাতুন (১০) - এই পুকুরে গোসল করতে নেমে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়।
ফাতেমা খাতুনের মৃত্যু হয়, তাসনিম হোসেন নিখোঁজ থাকে এবং জিম খাতুনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় স্থানীয়রা, ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। ঘটনাটি দুপুর ১ টার দিকে ঘটে। পুকুরটির গভীরতা বেশি হওয়ায় শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। স্থানীয় দুখু মিয়ার সাক্ষ্য অনুসারে, জিমকে উদ্ধার করা হলেও তাসনিমকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয় উদ্ধারকারী দল। কালীগঞ্জ ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস এবং কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেন।
ফাতেমা বেথুলী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে এবং জিম মোফাজ্জেল হোসেনের মেয়ে। নিখোঁজ তাসনিম আলাইপুর গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে ছিল এবং কয়েক দিন আগে নানার বাড়ি বেথুলীতে এসেছিল।
এই ঘটনার পর বেথুলী গ্রামের পুকুরটি শুধু একটি পানির উৎস হিসেবে নয়, একটি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হিসেবেও স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ঘটনাটি শিশুদের পানির নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। আর এই দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে সকল সংশ্লিষ্ট পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানানো হয়।