বুলাওয়ায়ো, জিম্বাবুয়ে

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০৩ এএম
নামান্তরে:
বুলাওয়ায়ো জিম্বাবুয়ে
বুলাওয়ায়ো, জিম্বাবুয়ে

বুলাওয়েও, জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, মাতাবেলেল্যান্ড অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র। মাতশেউম্লোপ নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরটি ৫৪৬ বর্গকিলোমিটার (২১১ বর্গমাইল) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ৬,৬৫,৯৪০, তবে শহর পরিষদের দাবি ১.২ মিলিয়ন। ঐতিহাসিকভাবে জিম্বাবুয়ের প্রধান শিল্প কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, বুলাওয়েও গাড়ি, নির্মাণ সামগ্রী, ইলেকট্রনিক পণ্য, টেক্সটাইল, আসবাবপত্র এবং খাদ্য পণ্যের কারখানা সমৃদ্ধ। এটি জিম্বাবুয়ের রেল নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এবং জাতীয় রেলপথের সদর দপ্তর।

বুলাওয়েওর ইতিহাস ১৮৪০ সালের দিকে গুন্ডওয়ানে এনদিওয়েনির নেতৃত্বে একটি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত। রাজা মিজিলিকাজির ক্রাল হিসেবে পরিচিত গিবিক্সহেগু বসতিটি পরবর্তীতে রাজা লোবেঙ্গুলা দ্বারা কোবুলাওয়েও নামকরণ করা হয়। ১৮৯৩ সালে ব্রিটিশ দক্ষিণ আফ্রিকা কোম্পানি (বিএসএসি) প্রথম মাতাবেলে যুদ্ধের সময় বসতিটি দখল করে এবং ১৮৯৭ সালে এটি পৌরসভার মর্যাদা লাভ করে। দ্বিতীয় মাতাবেলে যুদ্ধের সময় শহরটি এনদেবেলে যোদ্ধাদের অবরোধের সম্মুখীন হয়। ১৯৪৩ সালে বুলাওয়েও শহরের মর্যাদা পায়।

শহরটিতে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, বুলাওয়েও পলিটেকনিক কলেজ, জিম্বাবুয়ে স্কুল অফ মাইনস এবং ইউনাইটেড কলেজ অফ এডুকেশন-সহ এক ডজনের বেশি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। জিম্বাবুয়ের প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর (পূর্বে জাতীয় জাদুঘর)ও বুলাওয়েতে অবস্থিত। মাতোবো ন্যাশনাল পার্ক এবং খামি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এর আশেপাশে অবস্থিত।

বুলাওয়েওর নামকরণ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এনদেবেলে শব্দ 'বুলালা' থেকে এসেছে এই নাম, যার অর্থ হত্যা। ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা অনুসারে শহরটি গঠনের সময় গৃহযুদ্ধ হয়েছিল। লোবেঙ্গুলার সিংহাসনে আরোহণ নিয়ে মাসুকু সহ অনেকের সাথে যুদ্ধ হয়।

১৯৯০-এর দশকের কাঠামোগত সংস্কারের ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ধীর হয়। বুলাওয়েও নিজেকে ‘ঐতিহ্যবাহী শহর’ হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে। ২০০৮ সালে কলেরার প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন হয় শহরটি। দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে জীবনযাত্রার মান হ্রাস পেয়েছে। বেকারত্ব, অবকাঠামোর অবনতি এবং দুর্নীতি বুলাওয়েওর বর্তমান চ্যালেঞ্জ।

মূল তথ্যাবলী:

  • জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর
  • মাতাবেলেল্যান্ড অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র
  • ঐতিহাসিক শিল্প কেন্দ্র
  • রেল নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র
  • দুটি মাতাবেলে যুদ্ধের সাক্ষী
  • সংস্কৃতি ও ইতিহাস সমৃদ্ধ

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।