বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরোধী দল বলতে ক্ষমতাসীন দলের বিরোধিতা করে এমন এক বা একাধিক রাজনৈতিক দল বা সংগঠিত গোষ্ঠীকে বোঝায়। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিরোধী দল কে হবে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অভূতপূর্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও, বিএনপির অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন প্রাপ্ত জাতীয় পার্টির (মাত্র ১১টি আসন) বিরোধী দল হওয়ার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়াও ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার ফলে বিরোধী দল নির্বাচন কেমন হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সংবিধানে বিরোধী দল গঠনের স্পষ্ট কোনো নিয়ম নেই, কেবল সংসদের কার্যপ্রণালী বিধিতে ‘বিরোধী দলীয় নেতা’র উল্লেখ আছে। সুতরাং, কে বিরোধী দল হবে তা স্পিকারের বিবেচনায় নির্ভর করছে। এই পরিস্থিতি, গত দুই দশকের রাজনৈতিক টানাপড়েনের ধারাবাহিকতা বলে মনে করছেন অনেকে। জাতীয় পার্টির অবস্থান, আওয়ামী লীগের নীতি ও কৌশল, স্বতন্ত্র এমপিদের ভূমিকা এবং সংসদের কার্যক্রম-সবই এই ইস্যুর পরিণতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিরোধী দল নির্বাচনের বিষয়টি ৩০ জানুয়ারি ২০২৫-এর সংসদের প্রথম অধিবেশনে চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিরোধী দল
আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিরোধী দল নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত
- আওয়ামী লীগের অভূতপূর্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতা
- জাতীয় পার্টির ১১টি আসন ও ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয়
- সংবিধানে বিরোধী দল গঠনের স্পষ্ট নিয়মের অভাব
- বিরোধী দল নির্বাচনের সিদ্ধান্ত স্পিকারের উপর নির্ভরশীল
- ৩০ জানুয়ারি ২০২৫-এর সংসদের প্রথম অধিবেশনে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - বিরোধী দল
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
বিরোধী দল রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণ।