বার্ধক্য, বৃদ্ধাবস্থা, বৃদ্ধ বয়স বা জরা মানব জীবনের একটি স্বাভাবিক পর্যায়। এই পর্যায়ে পৌঁছানোর বয়স ব্যক্তিভেদে, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। শৈশব, কৈশোর ও যৌবন অতিক্রান্ত করে মানুষ বার্ধক্যে প্রবেশ করে।
জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিটি মানব কোষে অসংখ্য ডিএনএ (DNA) থাকে এবং এর একটি ছোট্ট অংশকে বলা হয় জিন (Gene)। এই জিনগুলোই আমাদের বংশগতির ধারক এবং বাহক। বর্তমানে বার্ধক্যের প্রধান কারণ হিসেবে জিনগত কারণকে তাত্ত্বিক ভাবে ধরা হয়। জেনেটিক বিজ্ঞানী ডেভিড সিনক্লেয়ারের মত অনুযায়ী বার্ধক্য এক ধরণের রোগ এবং ওষুধের সাহায্যে বার্ধক্যের চিকিৎসা সম্ভব হতে পারে। এ বিষয়ে বর্তমানে গবেষণা চলছে।
বৃদ্ধ জনসংখ্যার হারের দিক থেকে সুইজারল্যান্ড শীর্ষে, অন্যদিকে আফগানিস্তান সর্বনিম্নে রয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থান ৬৭ তম। বাংলাদেশে ৪০ বছর বয়সের পর থেকে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা দেখা যায়। এই বয়সে হৃদরোগ, হাড়ের ক্ষয়, এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, জনসংখ্যা গতিবিদ্যা, এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নতির ফলে বয়স্কদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বৃদ্ধি সমাজের উপর বিভিন্ন ধরণের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ উভয়ই সৃষ্টি করছে। বৃদ্ধদের স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, সামাজিক সমর্থন, এবং সম্মানজনক জীবনযাপনের বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ।