লুৎফুজ্জামান বাবর: একজন বিতর্কিত রাজনীতিবিদ
লুৎফুজ্জামান বাবর (জন্ম: ১০ অক্টোবর ১৯৫৮) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ যিনি বিভিন্ন বিতর্কিত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার জন্য পরিচিত। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় নেত্রকোণা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা:
তিনি ১০ অক্টোবর ১৯৫৮ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নেত্রকোণার মদন পৌরসভার বাড়িভাদেরায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এ কে লুৎফর রহমান এবং মাতা জোবাইদা রহমান। তার স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী ছিলেন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
রাজনৈতিক জীবন:
লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ এবং ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং পরবর্তী দুই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৬ সালের সপ্তম এবং ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন।
বিতর্ক ও মামলা:
লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: এই মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, পরে তিনি খালাস পান।
- ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা: এই মামলায়ও তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, পরবর্তীতে তিনি এই মামলায়ও খালাস পান।
- অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলা: এই মামলায় তাকে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
- শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলা এবং সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত হত্যাচেষ্টা মামলা: এই দুটি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে আরো কিছু অভিযোগ রয়েছে যেমন ঢাকা বিমানবন্দর কেন্দ্রিক ব্যবসা এবং ১৯৮০ সালে ক্যাসিও ঘড়ি পাচারের অভিযোগ। তবে তার ঘনিষ্ঠদের দাবি তিনি এসব ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন না।
উপসংহার:
লুৎফুজ্জামান বাবরের জীবন ও রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বিতর্ক ও মামলার ঘটনাবহুল। তার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। আমরা ভবিষ্যতে আরও তথ্য জানতে পারলে এই লেখা আপডেট করা হবে।