বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (Bangladesh Supreme Court Bar Association) বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের একটি পেশাগত সংগঠন। এটি আইনজীবীদের অধিকার রক্ষা, পেশাগত উন্নয়ন এবং বিচার ব্যবস্থার সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য কাজ করে।
প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস: সমিতির সঠিক প্রতিষ্ঠা বছর নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি, তবে উপলব্ধ তথ্য অনুযায়ী, এটি দীর্ঘদিন ধরে ক্রিয়াশীল রয়েছে। ১৯৭৬ সালে ফারাক্কা ব্যারাজ নির্মাণের বিষয়ে সমিতি একটি বিবৃতি জারি করেছিল। ১৯৮৭ সালে, হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের সময় সমিতির সভাপতির গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে। ১৯৯৯ সালে, তৎকালীন সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে আদালত অবমাননা করার অভিযোগে আবেদন করেছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৫, ২০১৭, ২০১৯, ২০২০ এবং ২০২১ সালে বিভিন্ন ঘটনায় সমিতির প্রতিক্রিয়া ও ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারীকালীন আর্থিক সমস্যায় পড়া আইনজীবীদের সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করে সমিতি।
সমিতির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড: সমিতি বিভিন্ন সময়ে বিচার ব্যবস্থার সুষ্ঠুতা, আইনজীবীদের অধিকার এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে বিবৃতি জারি, সমর্থন ও প্রতিবাদ করে। সমিতি আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ, পেশাগত উন্নয়ন এবং তাদের সামাজিক কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রাজনৈতিক ও সামাজিক সম্পৃক্ততা: সমিতি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনায় সমিতির প্রতিক্রিয়া ও ভূমিকা লক্ষণীয়। সমিতির নির্বাচন প্রায়ই দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সমর্থিত দুটি প্যানেলের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ: সমিতির বিভিন্ন সময়ে অনেক বিশিষ্ট আইনজীবী সভাপতি ও অন্যান্য পদে কাজ করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন হাবিবুল ইসলাম ভুঁইয়া, রোকনউদ্দিন মাহমুদ, জয়নুল আবেদিন, এ. এম. আমিন উদ্দিন, আব্দুল মতিন খসরু, এম. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, এবং এম. মাহবুব উদ্দিন খোকন।
অতিরিক্ত তথ্য: সমিতির অভ্যন্তরীণ কাজকর্ম, সংগঠনের আকার, বাজেট, এবং অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য এই সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনায় সম্ভব নয়। আমরা ভবিষ্যতে অধিক তথ্য প্রাপ্ত হলে আপনাদের জানিয়ে দেব।