দিল্লির বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প: একটি বিশদ পর্যালোচনা
২০২২ সালের ২ নভেম্বর, নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘যথাস্থানে বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প’ এর আওতায় দিল্লির কালকাজিতে নবনির্মিত ৩০২৪টি ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পটি দিল্লির বহু ঝুপড়িবাসী পরিবারের জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। কালকাজি এক্সটেনশনের প্রথম পর্যায়ে ৩০০০ এরও বেশি বাড়ি নির্মিত হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই বাকি বাসিন্দারাও নতুন বাড়িতে বসবাসের সুযোগ পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী উল্লেখ করেন যে, এই প্রকল্প দরিদ্র মানুষদের কঠোর পরিশ্রম ও উদ্যোগের ফল। তিনি জোর দেন যে, সরকারের নীতি-নির্ধারণে দরিদ্র মানুষদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে এবং শহরাঞ্চলের গরীবদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার উদ্যোগ, এক দেশ, এক রেশন কার্ড ব্যবস্থা, স্বনিধি প্রকল্প, জনঔষধি প্রকল্প ইত্যাদির মাধ্যমে দিল্লির দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সরকার।
দিল্লির অবৈধ বস্তিগুলোর বৈধতা দান এবং গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে 'পিএম-ইউডিএওয়াই' প্রকল্পের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, গরীব ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিকে বাড়ি তৈরিতে সুদ বাবদ ৭০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।
দিল্লির উন্নয়নের প্রসঙ্গে, মোদী ২০১৪ সাল থেকে মেট্রো রেলের যাত্রাপথ ১৯০ কিলোমিটার থেকে ৪০০ কিলোমিটারে বৃদ্ধি, ১৩৫টি নতুন মেট্রো স্টেশন নির্মাণ, ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তাঘাট চওড়া করার উদ্যোগ, দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে, দ্রুতগতির রেল নেটওয়ার্কের পরিকল্পনা, নতুন দিল্লি রেল স্টেশনের সংস্কার, ভারত বন্দনা পার্কের নির্মাণ ইত্যাদির উল্লেখ করেন।
প্রকল্পের ব্যয় ও সুযোগ-সুবিধা:
৩০২৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণে ৩৪৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা যেমন, টাইলসযুক্ত রান্নাঘর, বিদ্যুতের সাব-স্টেশন, সোয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, লিফট, ভূ-গর্ভস্থ জলাধার ইত্যাদি রয়েছে। বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেওয়া হবে।
উপসংহার:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘যথাস্থানে বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প’ দিল্লির ঝুপড়িবাসীদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এই প্রকল্প শুধুমাত্র আবাসন সুবিধাই নয়, বরং দরিদ্রদের জীবনে সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে।