বসুন্ধরা পেপার মিলস: বাংলাদেশের কাগজ শিল্পে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান
বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বৃহৎ কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বসুন্ধরা গ্রুপের অধীনে পরিচালিত হয়, যা বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প কংগ্লোমারেট। বসুন্ধরা পেপার মিলস বিভিন্ন ধরণের কাগজ এবং কাগজজাত পণ্য উৎপাদন করে, যার মধ্যে টিস্যু পেপার, লেখার কাগজ, প্যাকেজিং কাগজ অন্যতম।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বসুন্ধরা পেপার মিলস সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাতে আগের বছরের তুলনায় ২১.৩৮% বেশি বিনিয়োগ করেছে, যা প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। তবে একই সময়ে, মোট আয় ২.৪৫% এবং নিট আয় ৫৭.৯১% হ্রাস পেয়েছে, যা ১৯.১৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এই হ্রাসের পিছনে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে তারতম্যের মতো বিভিন্ন কারণ রয়েছে।
তবুও, বসুন্ধরা পেপার ৬২৮৫.৩৩ মেট্রিক টন পণ্য রপ্তানি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ৪,৫০২ জন কর্মীর সমন্বয়ে পরিচালিত হয় এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ১৭১ কোটি টাকা কর পরিশোধ করেছে।
পরিবেশ সুরক্ষা এবং কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের দিকেও বসুন্ধরা পেপার মিলস গুরুত্বারোপ করছে। কারখানা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পুনঃব্যবহারের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে তারা কাজ করছে।
বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের ৩১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টারসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই এজিএমে, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিধি মেনে প্রতিষ্ঠানের নাম বসুন্ধরা পেপার মিলস পিএলসি হিসেবে অনুমোদন করা হয়। এছাড়া গত অর্থবছরে কোন লভ্যাংশ প্রদান করা হয়নি।
এআর রশীদি এজিএমে প্রধান ভূমিকা পালন করেন এবং তিনি বসুন্ধরা পেপার মিলসের বিকল্প পরিচালক। তিনি এজিএমে সভাপতির ভূমিকা পালন করেন। এজিএমে অন্যান্য পরিচালক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বসুন্ধরা পেপার মিলস বাংলাদেশের কাগজ শিল্পে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে এবং টেকসই উৎপাদন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি উল্লেখযোগ্য।