বসুন্ধরা: নামটি শুনলেই মনে হয় ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শপিং মলটির কথা। কিন্তু বসুন্ধরা শুধুমাত্র এই শপিং মল নয়, এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প-ব্যবসায়িক কংগ্লোমেরেট বসুন্ধরা গ্রুপের নাম। ১৯৮৭ সালে ‘ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড’ নামে আবাসন ব্যবসা দিয়ে যাত্রা শুরু করে এই প্রতিষ্ঠান। আহমেদ আকবর সোবহান প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান।
বসুন্ধরা গ্রুপের প্রথম প্রকল্পের সাফল্যের পর, উৎপাদন, শিল্প, এবং বাণিজ্যসহ নানা নতুন খাতে বিনিয়োগ শুরু হয়। ১৯৯০ এর দশকে সিমেন্ট, কাগজ, টিস্যু, ইস্পাত উৎপাদন, এলপি গ্যাস বোতলজাতকরণ এবং বিতরণের মতো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বর্তমানে বসুন্ধরা গ্রুপ ৫০টিরও বেশি বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।
বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স, বসুন্ধরা গ্রুপের সবচেয়ে পরিচিত প্রকল্প। ১৯৯৮ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০০৪ সালের ৬ আগস্ট জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়। মুস্তাফা খালিদ পলাশ এবং মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ এর স্থাপত্য নকশা করেছিলেন। ২১ তলা বিশিষ্ট এই ভবনে প্রায় ২,৫০০ টি দোকান, ফুড কোর্ট, সিনেমা হল, জিম, এবং অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ এখানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে, যার ফলে ৭ জনের মৃত্যু হয় এবং অনেকে আহত হয়।
বসুন্ধরা গ্রুপ কেরানীগঞ্জে দুটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলও স্থাপন করেছে। ২০২০ সালে তারা ১৪৩.৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের বৃহত্তম বিটুমিন প্লান্ট স্থাপন করে। এছাড়াও, বসুন্ধরা গ্রুপ মিডিয়া খাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে কয়েকটি টিভি চ্যানেল, একটি এফএম রেডিও স্টেশন, একটি অনলাইন সংবাদপত্র এবং কয়েকটি মুদ্রিত সংবাদপত্রের মাধ্যমে।
বসুন্ধরা গ্রুপের সাথে জড়িত বিভিন্ন আইনি এবং বিতর্কিত ঘটনাও রয়েছে, যেমন কর ফাঁকির অভিযোগ এবং জমিজালিয়াতির মামলা। এই তথ্যগুলো বিস্তারিত জানার জন্য আরো গবেষণা করা প্রয়োজন। আমরা ভবিষ্যতে এই বিষয়গুলি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য যোগ করবো।